অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফটিকছড়িতে আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের উপর তৈয়ব বাহিনীর হামলা

0
.

নজিবুল বশর মাইজভা-ারি বারবার নৌকা ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অপমান করে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। কিন্তু এলাকাবাসী ও সাধারণ ভোটাররা তার পক্ষে নেই। তাই নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে তিনি এখন সন্ত্রাসীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের উপর হামলা করছেন। সন্ত্রাসী তৈয়বের নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মহুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাহমুদুল হকের উপর। হামলায় ইট, পাটকেল নিক্ষেপের পাশাপাশি কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা পরিকল্পিত বলেও অভিযোগ করা হয়।
সোমবার সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলামের বাসভবনে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ সংবাদ সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সন্ত্রাসী তৈয়ব, দিদারসহ সন্ত্রাসীরা নজিবুল বশর মাইজ ভাণ্ডারীর পক্ষে আওয়ামী লীগের নেতা ও প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর উপর পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে সোমবার। হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়। মোবাইল ফোনেও হত্যার হুমকী দেওয়া হচ্ছে। দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর জন্যই তারা এসব করছে। অথচ সাধারণ মানুষের কাছে নজিবুল বশরের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। নিশ্চিত পরাজয় জেনেই তিনি সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরী বলেন-দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের দায়ের দল থেকে অব্যাহতি প্রাপ্ত গুটি কয়েক নেতাকে নিয়ে নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এলাকায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। তিনি নজিবুল বশরের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেন তিনি (নজিবুল বশর) যদি এতই জনপ্রিয় হন তাহলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদেরকে হুমকি ধমকি আর হামলা করেন কেন তাঁর পক্ষে নিতে চেষ্টা করছেন। জনপ্রিয়তা নাই বলেই উপজেলা আওয়ামীলীগ তাঁর পরিবর্তে দলীয় ব্যক্তিকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সংগঠনকে লিখিতভাবে জানিয়েছিল।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নাজিমুদ্দিন মুহুরী বলেন নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই নজিবুল বশর সন্ত্রাসী তৈয়বকে দিয়ে আমাকে ও এটিএম পেয়ারুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্য এ হামলা চালিয়েছে।

আপেল প্রতীক নিয়ে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, নজিবুল বশরের অতীত রাজনীতির ইতিহাস আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদেও হত্যা করানোর ইতিহাস। ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক, মুক্তিযোদ্ধা গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীসহ ৫২ জন তোকর্মীকে হত্যা করিয়েছেন তিনি। গত পাঁচ বছরে আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক কর্মকান্ডকে ভেঙ্গে ভঙ্গুর করে দিয়েছেন। উন্নয়নের নামে সরকারী প্রকল্প লুটপাটসহ ডিও লেটার বাণিজ্য করেছেন। এমন কোন সেক্টর নেই যেখান থেকে তিনি টাকা নেননাই। তাঁর কারণে ফটিকছড়িতে উন্নয়নের মহাসড়কের ছোয়া লাগেনি। শুধু আওয়ামীলীগ নয় তার নিজ ঘর মাইজভান্ডার দরবারেও তাঁর কর্মকান্ডে সবাই অতিষ্ঠ।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো.মুজিবুল হক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মহুরী, যুবলীগ আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান স্বপন, চেয়ারম্যান আবু তালেব চৌধুরী, চেয়ারম্যান রুস্তম আলী, চেয়ারম্যান শফিউল আলম, সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুল আজম, আমান উল্লাহ চৌধুরী লিটন, অ্যাডভোকেট সালামত উল্লাহ, জাবেদ জাহাঙ্গীর টুটুল,শিমুল চন্দ্র নাথ,রাইসুল ইসলাম চৌধুরী এমিল, জয়নাল আবেদীন, ,কাজী গোলাম সরোয়ার সুরুজ, এড. সালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন,জামশেদুল আলম শিবলু,নজরুল, তাফসীর চৌধুরী,আজিমুল ইসলাম,ফাহাদ মুহুরী, প্রমুখ।