অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আমির খসরু’র বাসার সামনে থেকে বিএনপি নেতাকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি

0
.

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর) আসনে বিএনপি প্রার্থী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পক্ষে নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাবকারী ও ডবলমুরিং থানা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ সেকান্দর আলমকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নগরীর মেহেদীবাগস্থ আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর বাসার সামনে থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী লোকজন বিএনপি নেতা সেকান্দর আলমকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি পাঠক ডট নিউজকে বলেন- ডিবি পরিচয়ে যখন সেকান্দরকে তুলে নিয়ে যাচ্ছিল সে সময় আমার বাসার ভেতরে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনের পলিটিক্যাল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু জাকির সাথে আমার বৈঠক চলছিল।

এদিকে ব্রিটিশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা আবু জাকির সঙ্গে বৈঠক শেষ করে খসরু যখন সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন তখনই বিএনপির কর্মীরা সেকান্দর গ্রেফতারের খবর জানান তাকে। খবর শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করেন খসরু। এ সময় সাংবাদিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে খসরু বলেন, ‘শেষপর্যন্ত আমার নির্বাচনী প্রস্তাবকারীকেই (সেকান্দর) পুলিশ নিয়ে গেল! দিস ইজ ইমপসিবল। এভাবে হলে তো নির্বাচন করার কোনো দরকার নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘সেকান্দরের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। শুধু আমার নির্বাচনী প্রস্তাবকারী হওয়ায় তাকে ধরে নিয়ে গেছে।’

এ সময় বিএনপিকর্মীরা বিষয়টি সিইসিকে জানাতে বললে খসরু তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সিইসিকে জানিয়ে কী হবে, উনি কী করবেন।’

ক্ষুব্ধ খসরু বলেন, ‘এভাবে চলতে দেয়া যায় না। চলো আমরা থানায় যাবো, থানায় গিয়ে বসে থাকবো।’

সেকান্দর আলমকে আটকের বিষয়ে জানতে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কোনো তথ্য আমার জানা নেই। থানার একটি টিম বাইরে অপারেশনে আছে। তারা ফিরে এলে জানা যাবে।’

তবে বিএনপি নেতা সেকান্দর আলমের এক আত্মীয় নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, সেকান্দরের খোঁজ পাওয়া গেছে। কোতোয়ালী থানার দুইতলার একটি কক্ষে তাকে রাখা হয়েছে। তার সঙ্গে তারা দেখা করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সরবরাহ করেছেন।