অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নোমানের উপর হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ রিটার্নিং কর্মকর্তার

2
.

চট্টগ্রাম -১০ আসনে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানের বিজয় মিছিলে হামলার ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

তিনি আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রামের ৬টি আসনের (চট্টগ্রাম-৪, চট্টগ্রাম-৫, চট্টগ্রাম-৮, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১০ ও চট্টগ্রাম-১১) আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নোমানের অভিযোগের ভিত্তিতে এই দু:খ প্রকাশ করেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।

তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একচোখা আচরণ নয়, সবার প্রতি সমান আচরণ করা হবে।

মতবিনিময় সভায় বিএনপির প্রার্থী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আমি পুলিশের অনুমতি নিয়ে বিজয় মিছিল উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম নয়াবাজারে। সেখানে আমি বক্তব্য দেয়ার সময় আমাদের উপর হামলা করা হয়। সেখানে আমি অবরুদ্ধ ছিলাম। আমাকে গুলি করার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে যার ছবি আমার কাছে আছে। আমি অনেক পুলিশ কর্মকর্তাকে জীবন বাঁচানোর জন্য ফোন করেছিলাম কিন্তু পুলিশ তাৎক্ষণিক আসেনি তারা অনেক পরে এসেছে।

তিনি আরো বলেন,  ২৭তারিখ থেকে আচরণবিধি মেনেই কার্যক্রম করছে কিন্তু কোন ফল আসেনি। যেখানে পোস্টার লাগনো হয় সেগুলো ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। শুধু যে আওয়ামী ছিড়ছে তা নয় পুলিশের লোকজনও ব্যানার ছিড়ে ফেলছে আর যারা ব্যানার লাগাচ্ছে পুলিশ নিজেই তাদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছে এলাকতা ছেড়ে চলে যাও।

.

নোমান অভিযোগ করে বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের কারনে আমার ৫বছর কারাদন্ড হয়েছিল। আমার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল। শত শত মাইল হেটে আমি বাংলাদেশে এসেছিলাম। সেই আমার উপর গতকাল বিজয় র‌্যালী করছিলাম তখন বিশাল একটি মিছিল লাঠিসোঠা, রিভালবার নিয়ে হামলা করেছিলো। আমিতো মনে করেছিলাম মরেই যাবো।

তাৎক্ষণিক পুলিশ প্রশাসনকে জীবন শংকার কথা জানিয়েও কোন সাড়া পাইনি। এই ধরণের একটা ঘটনা হবে তা কখনো ভাবিনি।আমরা বিজয় মিছিলের জন্য অনুমতি নিয়েছিলাম।আমরা বিজয় মিছিল করতে যাওয়ার সময়ও পুলিশকে বলেছি। আমার যদি এই অবস্থা হয় তাহলে নেতাকর্মীদের কি অবস্থা। প্রশাসন মোবাইল নাম্বার চায় ভয় দেখায় আমি আজ প্রকাশ্যে বলতে চাই। নির্বাচনের পরিবেশ নাই। নির্বাচনী পরিবেশের অবনতি হচ্ছে। এই অবনতি হলে দেশের অবনতি হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যহত হবে। তার দায়দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে। নির্বাচন পরিবশে নিশ্চিত করার জন্য প্রধান কাজ হলো আমাকে অবাধে চলাফেরা করতে দেয়া। অনেক এজেন্ট  ও কর্মীকে গাযেবী মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপনার নিরপেক্ষতা বজায় রাখলে পরিবেশ ভাল হবে।গ্রেফতার আতংক সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে।

সভায় অন্যান্য প্রার্থীরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

নির্বাচনী কর্মকর্তারা নির্বাচনী পরিবেশ বজায় থাকবে বলে আশ্বাস্থ্য করেন।

সভায় বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল ফয়েজ,চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামানসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

২ মন্তব্য
  1. Jashim ul islam বলেছেন

    কোন প্রতিকার নিলেন না,শুধু মাত্র দুঃখ প্রকাশ করেই কি শেয