অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভয় এবং ভরসা দুটোই রয়েছে বাদলের

0
.

অতীতের মতো এবারের সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৮ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা মাঈনউদ্দীন খান বাদল। আওয়ামীলীগ থেকে এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন আবারও বঞ্চিত। ভোটের মাঠে মনোনয়ন বঞ্চিতরা বিদ্রোহী না হলেও সরব প্রচারণায় আসছেন না মাঈন উদ্দিন খান বাদলের পক্ষে।

এছাড়া কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন না হওয়াটাও একটা ভয় বাদলের জন্য বলছেন এ আসনের ভোটাররা। একইসাথে বাদলের ভোটের মাঠের লড়াইকে কঠিন করে তুলেছেন বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান।

এদিকে মনোনয়ন প্রাপ্তির আগে অনেক চড়াই উৎরাই পার হতে হয় আবু সুফিয়ানকে। বিএনপির সুদিন-দূর্দিনে আবু সুফিয়ানের উপস্থিতি চট্টগ্রাম -৮ আসনের বিএনপি সমর্থকদের আস্থা অর্জন করেছে। তাই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান ও এরশাদ উল্লাহ মনোনয়ন দৌড়ে পিছিয়ে পড়েছেন। আর বিএনপির এ নাটকিয়তা আবার অনেকাংশে বাদলের জন্য শুভকরও বটে। কারন মোর্শেদ খান ও এরশাদ উল্লাহর সমর্থরা নিরবে বাদলের হয়ে ভোটের মাঠে কাজ করবেন, এমন শংকাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না ভোটাররা। তাই ভোটের মাঠে ভোটারদের নিয়ে ভয়ও ভরসা দুটোই কাজ করছে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা মাঈনউদ্দীন খান বাদলের।

চট্টগ্রাম-৮ চান্দগাঁও -বোয়ালখালী (আংশিক) আসনে নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও তার ছেলে মুজিবুর রহমান, মোছলেম উদ্দিন আহমদ, মোহাম্মদ আবদুল কাদের সুজন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন।

এবারের নির্বাচনে কালুঘাট সেতু নির্মাণের দাবী প্রধান ইস্যূ।

চট্টগ্রাম ৮ সংসদীয় আসন হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ২৮ নং আসন। চট্টগ্রাম ৮ আসনটি চট্টগ্রাম জেলায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৩, ৪,৫,৬,৭ এবং বোয়ালখালী উপজেলার কধুরখীল ইউনিয়ন, পশ্চিম গোমদন্ডী ইউনিয়ন, পূর্ব গোমদন্ডী ইউনিয়ন, শাকপুরা ইউনিয়ন, সারোয়ারতলী ইউনিয়ন, পোপাদিয়া ইউনিয়ন, চরনদ্বীপ ইউনিয়ন, আমুচিয়া ইউনিয়ন, আহল্লা , করলডেঙ্গা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে মহাজোটের মইন উদ্দিন খান বাদল শতভাগ ভোট পেয়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।

চট্টগ্রাম -৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও)’র ২০০৮ সালেও মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে তাকে আসন ছেড়ে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। সেই নির্বাচনে জিতে এমপি নির্বাচিত হন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাঈন উদ্দিন খান বাদল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাসদ নেতা বাদলকে আবার মহাজোটের মনোনয়ন দেয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলো স্থানীয় ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। তখর দল থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ ও নগর আওয়ামী লীগ কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম।

এবারও এ আসন থেকে আবারও মনোনয়ন প্রত্যাশী চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ।

এদিকে চট্টগ্রাম -৯ আসন থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও চট্টগ্রাম ৮ আসন থেকে নূরুল ইসলাম বিএসসির মনোনয়ন মিলবে এমনটি আশা জিইয়ে রেখেছিলেন চট্টগ্রাম ৮ আসনের বিএসসি সমর্থকরা। কিন্তু সেটি না হওয়ায় অনেকটাই হতাশ তারা।

জানা গেছে, মনোনয়ন বঞ্চিত মোসলেম উদ্দিন আহমেদ সরব নেই বাদলের পক্ষে। আওয়ামী রাজনীতির জন্য নিজের জীবনের প্রায় অর্ধেক সময়ই নিবেদিত রেখেছেন এই নেতা। ৬৬ সাল থেকে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ও ১৯৭২ সাল থেকে সাধারন সম্পাদকের দায়িত,¡ ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদকের দাািয়ত্ব পালন করেন।

আরো জানা যায়, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে পটিয়া থেকে মনোনয়ন পেলেও কিছু ভোটের জন্য তিনি নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারেননি। আর ২০০৮ ও ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম ৮ আসন থেকে নির্বাচিন করতে চাইলেও মহাজোটের শরীককে আসটি ছেড়ে দিতে হয়।

অন্যদিকে এই সিনিয়র নেতার পাশাপাশি চট্টগ্রাম ৮ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন নুরুল ইসলাম বিএসসি পুত্র মুজিবুর রহমান। মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের কোন পদে নেই।

বাদলের প্রচারণায় তার পছন্দের লোক ছাড়া সভা-সমাবেশে দেখা যাচ্ছে না আপামর ভোটারদের। এটি একটি বড় প্রতিকূলতা বাদলের জন্য জানিয়েছেন ভোটাররা।

তারপরও এ আসনে বিএনপিতে সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী না হওয়াটাও নিজের ভোটব্যাংক ভারী হওয়ার ভরসা মাঈন উদ্দিন খান বাদলের। তিনি জানান, আমি সব প্রতিকূলতাকে মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূর্ণ সমর্থন নিয়ে এবারের নির্বাচনে মহাজোট থেকে প্রার্থী হয়েছি। আমার শক্তি আমার ভোটাররা। কালুরঘাট সেতু নির্মাণ সময়ের ব্যাপার। এ উদ্যেগ যতটুকু এগিয়েছে তা আমার চেষ্টাতেই এগিয়েছে। আমি নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ করা। বিএনপি তার জন্য কোন ফ্যাক্টর হবে না জানিয়ে এই নেতা জানান, বিএনপি নিজেই দ্বিধা-বিভক্তিতে জর্জরিত। সে কি অন্যকে ডোবাবে, সে তো নিজেই ডুবে বসে আছে।

তার কথার সূত্র ধরে জানা যায়, অতীতে দলীয় চেয়ারপার্সনের কড়া নির্দেশনার পরও তেমন কোন কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়নি দলটি কিংবা অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের। অন্যান্য যে কর্মসূচিগুলো পালিত হয়েছে, তাও ছবি-নির্ভর। কারণ হিসেবে অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দায়ী করছেন অনেকেই।

দেখা গেছে, বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম-মৃত্যু ও দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে কাগজে-কলমে। দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে দেয়ালে দেয়ালে পোস্টারিং ছাড়া তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না।

কিন্তু এই বোয়ালখালী উপজেলাই একসময় বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম. মোর্শেদ খান ও এরশাদউল্লাহ’কে ঘিরে দ্বিধাবিভক্তি দেয়া দেয় বোয়ালখালী বিএনপিতে। উপজেলা থেকে তৃণমূল পর্যায়ে উভয় গ্রুপের রয়েছে আলাদা আলাদা কমিটি। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে এরশাদউল্লাহ বিভিন্ন কর্মসূচিকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও মোর্শেদ খানের দেখা না মেলার অভিযোগ ছিলো নেতাকর্মীদের।

তিনি বছর দুয়েক আগে ইফতার মাহফিলে যোগদান করা ছাড়া কালেভদ্রেও দলীয় কর্মসূচিতে যোগদান না করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করে আসছিলো।

জানা যায়, উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি ও আহল্লা-কড়লডেঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাচা ২০১০ সালের ৮ নভেম্বর ঢাকার গাজীপুর থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর এরশাদউল্লাহ গ্রুপের আহবায়ক মো. আজিজুল হক চেয়ারম্যান মোরশেদ খান গ্রুপে যোগ দিয়ে সভাপতি নির্বাচিত হন।

কিছুদিন পর এ গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ খানের সাথে তাঁর মতবিরোধ সৃষ্টি হলে এ গ্রুপে উপ-দলীয় কোন্দল দেখা দেয়। এতে বিএনপির দুর্গখ্যাত দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম উপজেলা বোয়ালখালীতে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমে চিড় ধরতে শুরু করে। সৃষ্টি হয় দলীয় কোন্দলের।

এ অবস্থায় বিএনপিই বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নিবার্চন প্রতিরোধ করার আন্দোলনে ত্রিধাবিভক্ত বিএনপি পৃথক পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করতে মাঠে নামলেও উপজেলার গোমদন্ডী ফুলতলীতে ইসমাঈল নামে এক যুবক নিহত হওয়ার ঘটনায় অর্ধশতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হওয়ায় মেরুদন্ডহীন হয়ে পড়ে উপজেলা বিএনপি।

জানা যায়, একসময় এরশাদ উল্লাহ একসময় মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। বোয়ালখালী-চান্দগাঁও আসন থেকে ২০০৮ সালে দলের হয়ে নির্বাচন করেছিলেন এই বিএনপি নেতা। কিন্তু এখন তিনি দলের কেউ নন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বোয়ালখালীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার ও ভাইস চেয়ারম্যান মনজুর মোরশেদ খানের গাড়িতে হামলার ঘটনায় দল থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে। তবে দমবার পাত্র না হয়ে এলাকায় গড়ে তুলেছেন পৃথক সমর্থকগোষ্ঠী। বিএনপির বহিষ্কৃৃত এ নেতা হলেন বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এরশাদ উল্লাহ। পরে এরশাদ উল্লাহ নিজের পদ ফিরে পান।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, নগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান ও বিএনপি নেতা এরশাদ উল্লাহ। অবশেষে দলীয় চূড়ান্ত মনোনয়ন পান আবু সুফিয়ান।

এই আসনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোরশেদ খানকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে নেতাকর্মীরা গণপদত্যাগের হুমকি দিয়েছিল। তার দুইদিন পর কেন্দ্র থেকে ডেকে সুফিয়ানের হাতে মনোনয়নের ফরম তুলে দেওয়া হয়।

এদিকে আবু সুফিয়ানের চুড়ান্ত মনোনয়নের খবর চাউর হওয়ার পর থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীদের খুশির জোয়ার বইতে থাকে। নির্বাচনী প্রচারনার প্রথম দিন থেকেই তারা আবু সুফিয়ানের সাথে গনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। জয়ের ব্যাপারে আবু সুফিয়ান শতভাগ আশাবাদী।

আবু সুফিয়ান জানান, আমি দলের ত্যাগী নেতা। দল আমাকে যেখভাবে মূল্যায়ন করেছে আশা করছি ভোটাররাও আমাকে সেভাবে মূল্যায়ন করবে। বিপুল ভোটে আমি নির্বাচনে জয়লাভ করব, জানান আবু সুফিয়ান।

এ আসনে এবার প্রধান ইস্যু কালুরঘাট ব্রিজ। বিশেষ করে বোয়ালখালীবাসীর দীর্ঘ দিনের দাবি, শত বছরের পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ কালুরঘাট সেতুর পরিবর্তে কর্ণফুলীতে চতুর্থ সেতু হবে। কিন্তু দশ বছরে সেই সেতু করতে পারেননি মাঈন উদ্দীন বাদল।

কালুরঘাট সেতু নির্মাণ না হওয়ায় বাদলের ভোটব্যাংেেক বিস্তর প্রভাব পড়বে, এমনটাও বলছেন ভোটাররা। আর তাই এবার নির্বাচিত হলে এক বছরের মধ্যে কালুরঘাট সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন বাদল।

তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। এ গণসংযোগ কানুনগোপাড়া থেকে শুরু পুরো বোয়ালখালী চষে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু তোপের মুখে পড়ছেন ভোটারদের। গত ১০ বছরে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ না হওয়ার ব্যর্থতার জন্য দায়ী করছেন ভোটাররা বাদলকেই।

শাকপুরা ইউনিয়নের রজত দাশ জানান, আমাদের দাবি ছিল কালুরঘাট সেতু। সেতুটা নির্মাণ হলে আমাদের যানজটে আটকা পড়ে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট করতে হত না। কিন্তু সাংসদ বাদল তা করতে পারেন নি। তাই এবার ভেবে দেখব, কে আমাদের প্রাণের দাবি পূরণ করতে পারবেন? যিনি পারবেন বলে মনে হবে, তাকেই ভোট দিব, জানান রজত।

বোয়ালখালী কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহব্বায়ক সিনিয়র সাংবাদিক মুস্তাফা নঈম জানান, শুধু বোয়ালখালী নয়, চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের দাবী কালুরঘাট সেতু নির্মাণ। যা করতে পারেননি সাংসদ মাঈন উদ্দিন খান বাদল। সাংসদের ব্যর্থতার কথা জানিয়ে মুস্তফা নঈম জানান, বাদল কালুরঘাট সেতু নির্মান প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করেছেন। চলমানও রয়েছে আরও অনেক প্রকল্প। তাহলে সেখানে কালুরঘাট সেতু নির্মাণ প্রকল্প কেন আলোর মুখ দেখলো না? কারন এটি সাংসদের ব্যর্থতা। আর এটি করতে না পারাটা বাদলের ভোটের হিসেব নিকেশ বদল ঘটাবে বলেও জানান মুস্তাফা নঈম। তবে তিনি আরো জানান, যে প্রার্থীই জয়লাভ করুক, তার কাছে প্রত্যাশা থাকবে, কালুঘাট সেতুর নির্মাণকাজ যেন হাতে নেয়া হয় ও দ্রুত সম্পন্ন হয়।

এদিকে বিএনপি প্রার্থী আবু সুফিয়ানের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে কালুরঘাট সেতু ইস্যু কেই প্রাধান্য দিচ্ছেন। নির্বাচিত হলে তার প্রধান কাজ হবে কালুরঘাটে নতুন সেতু নির্মাণ করা।