অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সাহসী অলির সামনে সাবলীল নজরুল

1
.

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় (সম্প্রসারিত হয়ে ২৩ দল) জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন জোটের অন্যতম শরিক এলডিপি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ। এর আগে ২০ দলের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সেই কর্ণেল অলি আহমেদ নির্বাচন করছেন তার নিজের এলাকা চট্টগ্রাম -১৪ আসন (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) এলাকায়।

জোটের সমন্বয়ক ও সাম্প্রতিক সময়ের তার সাহসী কিছু বক্তব্যে, সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করে আবারও আলোচনায় এসেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি এলাকায় গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এদিকে আওয়ামীলীগ থেকে এ আসনে নির্বাচন করছেন বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনিও তার উন্নয়ন কর্মকান্ডের ফিরিস্তি তুলে ধরছেন ভোটারদের কাছে। যাচ্ছেন ভোটারদের ঘরে ঘরে।

গতমাসে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত ‘৭১’র মুক্তিযুদ্ধ ও আজকের বাংলাদেশ, আসন্ন নির্বাচনে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যাশা এবং করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় কর্ণের অলি বলেন, ‘আমি বিএনপিকে বলেছি জোটের প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে বানরের পিঠা ভাগ করার মতো করবেন না। যোগ্য প্রার্থীদের অবশ্যই মূল্যায়ন করবেন।’

অলি আহমেদ সে সভায় আরো বলেন, ‘বর্তমানে সংবাদকর্মীদের গলা চেপে রাখা হয়েছে ডিজিটাল আইনের মাধ্যমে। আমরা ক্ষমতায় গেলে এই ডিজিটাল আইন সংশোধন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংক দেউলিয়া, কিছু সংখ্যক লোক ব্যংকের টাকা লুটপাট করে নিয়ে বিদেশে নাগরিকত্ব নিয়ে চলে গেছে। আবার জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো মূল্যায়ন করা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী একমাত্র একাত্তরের শহীদদের মুক্তিযোদ্ধা মনে করেন। যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পাওয়া যায় না। দলীয় আনুগত্য প্রকাশ করলেই চাকরি পাওয়া যায়। তাই অনেকে বাঁচার তাগিদে দলীয় আনুগত্য স্বীকার করেছে। সব মিলিয়ে এখন দেশকে মুক্ত করার তাগিদে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

এদিকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশে রাজনীতির নয়া মেরুকরণে আগামী সংসদ নির্বাচন কর্ণেল কলির জন্য আগাম চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে নিজের বিজয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদী বর্তমান এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলাসহ দুই পৌরসভা ও সাতকানিয়া (আংশিক) নিয়ে চট্টগ্রাম-১৪ সংসদীয় আসন। চট্টগ্রাম-১৪ সংসদীয় আসন হল বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার একটি। এটি চট্টগ্রাম জেলায় অবস্থিত জাতীয় সংসদের ২৯১ নং আসন।

চট্টগ্রাম-১৪ আসনটি চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ উপজেলা এবং সাতকানিয়া উপজেলার কেওচিয়া, কালিয়াইশ, বাজালিয়া, ধর্মপুর ও খাগারিয়া ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত।

এ আসন থেকে ২৩ নেতা আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। এ আসনে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এমপি ছিলেন বিএনপির (বর্তমানে এলডিপি) কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের নজরুল ইসলাম ইসলাম এমপি হন।

চট্টগ্রাম-১৪ চন্দনাইশ-সাতকানিয়া (আংশিক) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মফিজুর রহমান, মোহাম্মদ কায়কোবাদ ওসমানী, এম মাসুদ আলম চৌধুরী, মো. জাহিদুল ইসলাম, আবু আহমদ চৌধুরী, খালেদা আক্তার চৌধুরী, মোহাম্মদ আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম, মো. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, ইমতিয়াজ উদ্দিন আহমদ আসিফ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু চুড়ান্ত মনোনয়ন পান নজরুল ইসলাম চৌধুরীই।

এবারের একাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রার্থী কর্নেল (অব:) অলি আহমেদের ছেলে ওমর ফারুকের ওপর হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় হামলাকারীরা ফারুকের হাতের আঙুল কেটে নেয় বলে অভিযোগ করা হয়। গত ১৫ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে স্থানীয় তেমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে কেওচিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ, তার বড় ভাই আব্দুস সালাম ও ছেলে আব্দুল গফুরও আহত হন।

অন্যদিকে এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তার দাবি, এমপি হওয়ার পর চন্দনাইশ সাতকানিয়ার দুঃখ সাঙ্গু নদীর ভাঙন রোধে ২৩০ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন তিনি। আরও ৯টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

কিন্তু অভিযোগ আছে, এমপি হলেও এ আসনে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল সামাল দিতে পারেননি। দলের উপজেলা সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ চৌধুরী জুনুর মধ্যে দলীয় কোন্দল অনেক সময় সংঘাত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

জানা যায়, এ আসনে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে হাল ধরেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার আফছার উদ্দীন আহমেদ। অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি ২০১৪ সালে নির্বাচন করেননি। এবারও তার ছেলে ব্যারিস্টার ইমতিয়াজ আহমেদ আসিফ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু তা ধোপে টিকেনি।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবদুল কৈয়ুম চৌধুরী জানান, বর্তমান এমপির সঙ্গে তৃণমূল নেতাকর্মীদের যোগাযোগ নেই বললেই চলে। তার বিরুদ্ধ তৃণমূল নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।’

কিন্তু এসব অভিযোগ আমলে না নিয়ে নজরুল ইসলাম চৌধুরী জানান, এলাকায় তিনি প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। তিনি আরো দাবি করেছেন, শঙ্খ নদীর ভাঙ্গন প্রতিরোধ করে ঐ এলাকার মানুষের কান্না থামিয়েছেন। নির্মান করেছেন অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা।

চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামীলীগের আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব মেটাতে ব্যর্থতার অভিযোগ প্রসঙ্গে এমপি বলেন, এ দ্বন্দ্ব দীঘদিনের জিইয়ে রাখা দ্বন্দ্ব। চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর ও সাধারন সম্পাদক আবু আহমেদ হলেন মামা-ভাগিনা। তারপরও কেউ কারো মুখ দেখতে পছন্দ করেন না। জাহেদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বেশিরভাগ সময় ঢাকায় থাকেন। দলীয় কর্মকান্ডে তাকে পাওয়া যায়না। এখান থেকেই দ্বন্দ্বের শুরু। তবে এবার তার জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ নিশ্চিত বলে জানান এমপি নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

এদিকে চট্টগ্রাম-১৪ জামায়াতের এবং চট্টগ্রাম-১৩ আলহাজ ড. কর্নেল (অব:) অলি আহমদ বীর বিক্রমের ঘাঁটি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। এই দুটো আসনে জামায়াতের সাথে ড. অলির সম্পর্ক বরাবরই সাপে-নেউলে।

জানা যায়, ১৯৯১ সালে বিএনপি প্রার্থী মোস্তাফিজ চৌধুরী ও আওয়ামীলীগ প্রার্থী আখতারুজ্জামানকে চৌধুরী বাবুকে হারিয়ে শাহজাহান চৌধুরীর জয়ের মধ্য দিয়ে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় জামায়াতের রাজত্ব শুরু হয়। সরকার গঠনে কেন্দ্রীয়ভাবে বিএনপিকে জাময়াত সমর্থন দিলেও চট্টগ্রাম-১৩ ও ১৪ আসনে বিএনপি-জামায়াত দূরত্ব রয়ে যায়।

চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সাংসদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, শহীদ জিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা, বিএনপি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী অলি আহমদকে নিয়ে এ অঞ্চলের বিএনপি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে। ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম-১৩’র পাশাপাশি চট্টগ্রাম-১৪ আসনেও নির্বাচন করে জিতে যান বিএনপি নেতা অলি আহমদ বীর বিক্রম। সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। এক পর্যায়ে সারাদেশে সরকার বিরোধী আন্দোলনে চারদলীয় জোট গঠিত হলে সমগ্র বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের মাঝে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হলেও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া-চন্দনাইশে তা হয়নি।

২০০১ সালে অনেকটা একক সিদ্ধান্তে অলি আহমদ দুটো আসনে নির্বাচন করে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় হেরে যান। এতে দল, সরকার ও সংসদীয় এলাকায় তার প্রভাব-মূল্যায়ণ কমে যায়। এক পর্যায়ে বিএনপি ছেড়ে এলডিপি গঠন করে মহাজোটে শামিল হন। এতে স্থানীয় বিএনপির বিপর্যস্ততা শুরু তখন থেকেই। সিংহভাগ বিএনপি নেতা-কর্মী তার সাথে পাড়ি জমান এলডিপিতে। বাকি বিএনপি দুভাগে ভেঙে যায়। একভাগ অলিভক্ত অপর ভাগ অলি বিরোধী হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পায়। উভয় অংশই নিজেদেরকে বিএনপির মূলধারার কান্ডারি দাবি করে বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে যায়।

২০০৮ সালের নির্বাচনেও অলি আহমদ উভয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় জামায়াত নেতা শামসুল ইসলামের কাছে হেরে যান। সে নির্বাচনে মহাজোটও তাকে মূল্যায়ন করেনি।

অপরদিকে তার নিজের ঘরেই দাঁড়িয়ে যান তার প্রতিদ্বন্দ্বী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমানের ভাই ডা. মহসিন। তিনি সাতকানিয়া-চন্দনাইশে বিএনপির বড় এক অংশ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন শুরু করে।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠার পর ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারিতে কর্নেল অলি আহমদ বিএনপিতে যোগ দেন। ওই বছরের মার্চে চট্টগ্রাম-১৩ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জেনারেল জিয়ার মন্ত্রিসভায় নিয়োগ পান প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। এরপরে একই আসন থেকে আরও চার দফায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অলি আহমদ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠদের একজন কর্নেল অলি।

১৯৮৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে তিনি যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে দলের সঙ্গে মতভেদ সৃষ্টি হলে ২০০৬ সালের ২৬ অক্টোবর অলি আহমদ বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।

সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজাকে চৌধুরীকে নিয়ে গঠন করেন বিকল্পধারা। পরে ওখান থেকে বেরিয়ে এলডিপি গঠন করেন তিনি। সেই থেকে নিজের প্রতিষ্ঠিত দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মাঝে ২০০৮ সালে সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নবম সংসদ নির্বাচনে এলডিপি থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য হন অলি আহমদ। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। অলি আহমদকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি করা হলেও ২০১২ সালে সেখান থেকে তাকে সরিয়ে দেয়া হয়।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের বাইরে গিয়ে চট্টগ্রাম-১৪ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) ও চট্টগ্রাম-১৩ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া) আসনে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন অলি আহমদ। এর মধ্যে চট্টগ্রাম-১৪ আসনে পরাজিত হলেও চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীদের বিপুল ভোটে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

ওই নির্বাচনে অলি আহমদের ছাতা প্রতীকে ভোট পড়ে ৮২ হাজার ৩৩টি। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফসার উদ্দিন আহমদের নৌকা পায় ৬১ হাজার ৬৩৬টি ও বিএনপির প্রার্থীী মো. মিজানুল হক চৌধুরীর ধানের শীষ প্রতীকে ভোট পড়ে ৩৩ হাজার ৩৫টি। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট মনোনীত জামায়াতের প্রার্থী আ ন ম শামসুল ইসলামের কাছে পরাজিত হলেও ড. অলি আহমদ ভোট পান ৬২ হাজার ৭৯০টি। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ৪৯ হাজার ৫০৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।

এদিকে নানা নানা আলোচনাতেই রাজনীতির মাঠে এলডিপি সভাপতি অলি আহমেদ সরব ছিলেন। বৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিও (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত চন্দনাইশ থেকে সাতবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছি। রাস্তাঘাট মসজিদ-মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ করে পুরো চন্দনাইশকে মানুষ চিনে আমার সময়ে সম্পন্ন করা কর্মকান্ডের জন্যেই। সুষ্ঠু ভোট হলে আগামী দিনেও জনগণ আমাকে ভোট দেবেন

১ টি মন্তব্য
  1. jani na বলেছেন

    আমরা তোমাকে ভোট দিলে বেশি ভুল হবে মি:অলি কারন একজন অনিবাচিত নেতা jadi 1000 koti takar unnan karta para tahala unar ank kisu karar kamata aca.ty nazrul k vote daya ank basi guruthapurna