অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দেশের ৩৮৯ উপজেলায় সেনা, ১৮টিতে নৌবাহিনী মোতায়েন (ভিডিও)

0
.

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার সারাদেশের ৩৮৯টি উপজেলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।

পাশাপাশি ১৮টি উপজেলায় মোতায়েন করা হয়েছে নৌবাহিনীর সদস্যদের।

আইএসপিআর জানায়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৩৮৯ উপজেলায় সেনাবাহিনী এবং ১৮ উপজেলায় নৌবাহিনী কাজ করবে।

২৪ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৯ দিন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’র আওতায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানায় ইসি। তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এর সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম শামীম জানান, রবিবার থেকে যেসব উপজেলায় সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে তারা আজ সোমবার সকাল থেকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তাদের কার্যক্রম শুরু করবেন।

.

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনেও তাদের একইভাবে মোতায়েন করেছিল ইসি। যদিও ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।

গত বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়।

পরিপত্রের নির্দেশনা অনুযায়ী, ‘রিটার্নিং কর্মকর্তা সহায়তা চাইলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনাকক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে ইসির কাজে যাবতীয় সহায়তা দেবে সশস্ত্র বাহিনী। প্রয়োজনে পরিস্থিতি বিবেচনা বা নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক-মহাসড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এই বাহিনী।’

পরিপত্রে আরও বলা হয়, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী কাজ করবে সশস্ত্র বাহিনী। অবৈধ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সশস্ত্র বাহিনীকে ডাকা হলে এক্ষেত্রে অন্য কোনো উপায়ে বেআইনি সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করা না গেলে ঘটনাস্থলে থাকা সর্বোচ্চ পদের ম্যাজিস্ট্রেট সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ ও গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন। জরুরি পরিস্থিতিতে যদি কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে কমিশন্ড অফিসার সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করার জন্য সামরিক শক্তি প্রয়োগ এবং গ্রেফতার করার নির্দেশ দিতে পারবেন। সামরিক শক্তি প্রয়োগের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটকে লিখিত নির্দেশ দেয়ার বাধ্যবাধকতা না থাকলেও মৌখিক নির্দেশ দেয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব তা লিখিত আকারে দেবেন।’

ভিডিও-