অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে কেন্দ্রে যেতে হবে-আমীর খসরু

0
.

বর্তমান নির্বাচনকে ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন’ বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম-৯ আসনে যেহেতু ইভিএম মেশিনে ভোট হবে সেখানে দায়িত্বে থাকবে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। এজন্য জনগণের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কোন ধরনের হুমকি এবং গুজবে কান না দিয়ে সবাইকে কেন্দ্রে যেতে হবে। নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে হবে।

তিনি আজ বেলা তিনটায় চট্টগ্রাম-৯ আসনের ধানের শীষের কারাবন্দী প্রার্থী ডা: শাহাদাত হোসেন এর বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, ডা: শাহাদাত সব মামলায় জামিন পেয়ে আজ জেল থেকে বের হওয়ার প্রাক্কালে তাকে অন্য একটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। নির্বাচনের মাঠে ডা: শাহাদাতকে ‘একজন শক্ত প্রার্থী’ উল্লেখ করে আমির খসরু বলেন এজন্য তাকে জেলে আটকে রাখা হয়েছে। ডা: শাহাদাত মুক্ত হলেই চট্টগ্রাম-৯ আসনের নির্বাচনের চিত্র পাল্টে যাবে।

তিনি সবাইকে নির্ভয়ে ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ থেকে দুঃশাসন দূর করতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। তিনি চট্টগ্রাম-৯ আসনের জনগণের প্রতি ডা: শাহাদাত হোসেন কে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

আমীর খসরু আরো বলেন, চট্টগ্রাম-৯ আসনে ডা: শাহদাত কারাগারে থাকলেও তার পক্ষে কেউ নির্বাচনী প্রচারে নামতে পারে নি। কোন জায়গায় পোস্টারও লাগাতে পারেনাই। সমস্ত এলাকা একজন প্রার্থীর পোস্টারে ছেয়ে আছে। নির্বাচনকে এক তরফা ও প্রতিদ্বন্দিতাহীন করে তুলেছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। এরপরও এদেশের জনগণ ভোট প্রদানের জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। তারা তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করতে চায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি বদরুল আনোয়ার, বার কাউন্সিলর সদস্য এড. দেলোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বার কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক এড. নাজিম উদ্দিন, জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক এড. জহুরুল ইসলাম, নগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

বিএনপি নেতা আমীর খসরু অভিযোগ করেন, নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকলেও শত প্রতিকূল ও বৈরী পরিবেশের মধ্যে বিএনপি নির্বাচন করছে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য। প্রচারণার শুরু থেকেই আওয়ামীলীগ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের উপর হামলা, সমর্থকদেরকে গায়েবী মামলা ও গ্রেফতার করে এক প্রকার মাঠছাড়া করে দিয়েছে। এরপরও বিএনপি নির্বাচনে আছে এবং শেষ পর্যন্ত থাকবে। দেশের গণতান্ত্রিক শাসন মানুষের সাংবিধানিক, মৌলিক অধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, জবাবদিহিমূলক শাসন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে আসছিল। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।