অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

লক্ষ্মীপুর ও সুনামগঞ্জে সংঘর্ষে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ২জন নিহত

0
.

লক্ষ্মীপুর ও সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগ বিএনপির সংঘর্ষের পৃথক ঘটনায় ২ আওয়ামী লীগ ও  ছাত্রলীগ নেতা খুন হয়েছে।

শনিবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানাগেছে, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার দত্তপাড়া ইউনিয়নের বড়ালিয়া গ্রামে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে ছাত্রলীগের এক কর্মী নিহত হয়েছে।

এ ঘটনায় রাকিব হোসেন ও জহির নামের স্থানীয় দুই ছাত্রলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তাদেরকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, সদর উপজেলার বড়ালিয়া গ্রামের বড়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের সামনে বেশ কয়েকটি ফাঁকা গুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা।

এসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন।

এর কিছুক্ষণ পর পাশের একটি ডোবায় যুবকটির মরদেহ পাওয়া যায়।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানও আওয়ামী লীগ নেতা আহসানুল কবির রিপন জানান, অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলায় আমাদের কর্মী নিহত ও ছাত্রলীগের দুই নেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি এ কে এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে নিহতের পরিচয় জানা যায়নি। তার লাশ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আহত দু’জনকে পুলিশ উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

এদিকে একই রাতে ‍সুনামগঞ্জে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় বিএনপি কর্মীর আঘাতে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। শনিবার রাতে উপজেলার জয়শ্রী ইউনিয়নের মহিষপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইফুল ইসলাম (৪০) মহিষপুর গ্রামের সোনা মিয়া তালুকদারের ছেলে। এই খুনের ঘটনায় পুলিশ ওই গ্রামের জায়েদ আলীর ছেলে মিস্টার মিয়া ও তার স্ত্রী রোজিনাকে আটক করেছে।

এলাকাবাসী জানায়, জয়শ্রী ইউনিয়নের মহিষপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম কিছুদিন আগে বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

ধর্মপাশা থানার ওসি এজাজুল ইসলাম বলেন, দায়ের হাতলের আঘাতে সাইফুলের মৃত্যু হয়েছে। মিস্টার মিয়া ও তার স্ত্রী রোজিনাকে আটক করা হয়েছে।

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিএনপি জোট দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করছে বলে দাবী করছে আওয়ামী লীগ।