অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জামায়াতকে বিচ্ছিন্ন করবে না বিএনপি

2

bnp-20th-dol-news-22.08.16কোনো চাপ বা কাউকে খুশি করতে ২০ দলীয় জোট থেকে জামায়াতে ইসলামীকে ছিন্ন করবে না বিএনপি। জোট যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। জোটকে আরও শক্তিশালী করা হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্য হবে আলাদা প্ল্যাটফর্মে। রবিবার (২১ আগস্ট) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান অফিসে ২০-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এমন আলোচনা হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

জোটের কলেবর বাড়লে তাদের আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বৈঠকে অংশ নেওয়া জামায়াত প্রতিনিধি।

বৈঠকে খালেদা জিয়া জোট নেতাদের জানান, তিনি বিএনপি বা ২০-দলীয় নেত্রী হিসাবে জাতীয় ঐক্যের ডাক দেননি। জাতীয় নেত্রী হিসাবে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। যারা এতে সাড়া দেবেন তাদের নিয়ে নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়া হবে।

বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়া জানান, তিনি পবিত্র হজে যাবেন।

রবিবার রাত পৌনে ৯টায় শুরু হয়ে রাত ১১টার দিকে বৈঠকটি শেষ হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের যে আহ্বান জানিয়েছেন তার সঙ্গে ২০-দলীয় জোটের কোনো সম্পর্ক নেই। জাতীয় নেত্রী হিসেবে তিনি এই আহ্বান জানিয়েছেন। ২০-দল তার সেই আহ্বানকে সমর্থন জানিয়েছে। একই সঙ্গে রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে ও গ্যাসের দাম বাড়লে প্রতিবাদ কর্মসূচি দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০-দল। কর্মসূচি কবে ও কী হবে তা বিএনপি চেয়ারপারসন ঠিক করবেন। এর আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন।

বৈঠকে উপস্থিত জোটের এক নেতা জানান, খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বান ও এর পরিপ্রেক্ষিতে জোটের শরিকদের মধ্যে সৃষ্ট সংশয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় বৈঠকে। বিশেষত কাদের সিদ্দিকী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে যাওয়ার পর তার বক্তব্য ও এর পরিপ্রেক্ষিতে জোটের শরিক দলের কোনো কোনো নেতার প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি আলোচনায় আসে।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকে জানান, খালেদা জিয়া যে আহ্বান জানিয়েছেন তা জাতীয় নেত্রী হিসেবে জানিয়েছেন। এর সঙ্গে ২০-দলের সম্পর্ক নেই। পরবর্তীতে শরিক দলের নেতারা খালেদা জিয়ার এই আহ্বানকে সমর্থন জানান।

বৈঠকে খালেদা জিয়া জানান, বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন। তবে এর পাশাপাশি অন্যান্য ইস্যুর দিকেও নজর দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে জোটের আরেক নেতা জানান, রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ২০-দলীয় জোট সমন্বিতভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

তিনি বলেন, ‘আলোচনার শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসন রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কি করা যায়- এই বিষয়ে জোটের কাছে পরামর্শ চান। এ সময় জোট নেতারা হরতালসহ নানা কর্মসূচির কথা উল্লেখ করেন। তবে কি কর্মসূচি দেওয়া হবে সেই বিষয়টি নির্ধারণের দায়িত্ব তারা জোট নেত্রীর ওপর ছেড়ে দিয়েছেন। খালেদা জিয়ার হজে যাওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। জোট নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য খালেদা জিয়াকে আশ্বস্ত করেন নেতারা। তারা বলেন, ২০-দলীয় জোট আছে এবং জোট অটুট থাকবে। এ ছাড়া গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে কর্মসূচি ও জঙ্গিবাদ রুখতে জাতীয় ঐক্য নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে ।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি কর্ণেল অলি আহমদ, জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ।

২ মন্তব্য
  1. এম ইউসুফ বলেছেন

    জামায়াত বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে! অনেকে ছিন্ন ছিন্ন হয়ে যাবে!! জামায়াতে ইসলামী কি হালদা খালের পানি দিয়ে ভেঁসে এসেছেন ? এই জমিনে এই সংগঠনের ভাইয়েরা অনেক রক্ত দিয়েছেন।

  2. আল হেলাল ইমন বলেছেন

    Good decision