অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জাপার কেউ মন্ত্রী হবেন না, এরশাদ বিরোধী দলীয় নেতা

0
.

একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি (জাপা) বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকবে এবং দলের কোনো সংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না বলে জানিয়েছেন দলের চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে পাঠানো চিঠিতে তিনি আরও জানিয়েছেন, একাদশ সংসদে তিনিই বিরোধী দলীয় নেতার ভূমিকা পালন করবেন।

আজ শুক্রবার সকালে জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের সই করা এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখিত বিষয়গুলো নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠিটি জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে এরশাদ লিখেছেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে পার্টির সর্বস্তরের নেতা, কর্মী-সমর্থক ও দেশবাসীর উদ্দেশে আমি এ মর্মে জানাচ্ছি যে একাদশ জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। পদাধিকার বলে জাতীয় পার্টির পার্লামেন্টারি দলের সভাপতি হিসেবে আমি প্রধান বিরোধী দলের নেতা এবং পার্টির কো-চেয়ারমান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) উপনেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

জাতীয় পার্টির কোনো সংসদ সদ্য মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হবেন না জানিয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠিতে স্পিকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন এরশাদ।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই সংসদে দলের ভূমিকা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে জাতীয় পার্টিতে। দলের কোনো কোনো সদস্য দশম সংসদের মতোই বিরোধী দলে থাকার পাশাপাশি দলের সংসদ সদস্যদের মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির পক্ষে মত দিয়েছেন।
তবে কেউ কেউ বলেছেন, তারা কেবল বিরোধী দল হিসেবেই থাকতে চান।

বুধবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন পরবর্তী জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্যদের প্রথম বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। তবে ওই আলোচনায় কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি দলটি।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিরোধী দলে থাকার পাশাপাশি একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও দলের সংসদ সদস্যদের দেখতে পাওয়ার পক্ষে মত দেন একাধিক প্রেসিডিয়াম সদস্য। তবে বৈঠক শেষে মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ শেষে দলের পার্লামেন্টারি বোর্ড বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেবে।

বৃহস্পতিবার শপথের পর সংসদীয় বোর্ডের সভায় বসে জাতীয় পার্টি। অসুস্থতার কারণে এরশাদ ওই বৈঠকেও উপস্থিত হতে পারেননি। আর ওই বৈঠক থেকেও সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

বৈঠক শেষে জাপা মহাসচিব রাঙ্গাঁ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মহাজোটে ছিলাম, আছি, থাকব। দলের কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদেরও মহাজোটে থাকার পক্ষেই ইঙ্গিত দেন।

যদিও পরে জানা গেছে, ওই বৈঠকে দশম সংসদে জাতীয় পার্টির তিন মন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েন বিরোধী দলীয় নেতা ও দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। দশম সরকারে থাকা জাতীয় পার্টির মন্ত্রীরা এবারও সুযোগ পেলে মন্ত্রিপরিষদের থাকতে চান বলে জানান। তবে রওশন এরশাদ ও জি এম কাদের জাতীয় পার্টিকে কেবল বিরোধী দল হিসেবেই দেখতে চান বলে মত দেন। এ নিয়ে শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি জাতীয় পার্টি। এরশাদের চিঠি হয়তো সংসদে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে তৈরি সব ধোঁয়াশা দূর করবে।