অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“কাব্য পথিক” সম্মাননা পাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা কবি শুক্কুর চৌধুরী

0
.

তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা, কবি, লেখক, সামাজিক সাংস্কৃতিক ক্রীড়া ও মানবাধিকার সংগঠক শুক্কুর চৌধুরী। জন্ম চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলাধীন বাঁশবাড়িয়া’র ঐতিহ্যবাহী চাঁন শিকদার বাড়ীতে। মাতুলালয় চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিন কাট্টলীস্থ জমিদার ছদু চৌধুরী বাড়ী।

সাবেক বৃটিশ সেনা কর্মকর্তা পিতার উদার আপত্য স্নেহ ছায়ায় কালুরঘাটস্থ বিশাল শিল্পাঞ্চলে কর্ণফুলী নদীর তীরে বহুভাষা সংস্কৃতির বাতাবরনে কেটেছে শৈশব, কৈশোর, প্রাক যৌবন। এ এল খাঁন উচ্চবিদ্যালয় হতে এস এস সি ও সরকারী সিটি কলেজ হতে অর্থনীতিতে স্নাতক।

খেলাধুলা লেখালেখি ও সাংস্কৃতিক চর্চ্চার প্ররম্ভ শৈশব হতেই। শখ বইপড়া, খেলাধুলা,ছবিতোলা, নাট্য নির্দ্দেশনা অভিনয়, উপস্থাপনা, ও সাংগঠনিক কার্য্যক্রম। পারিবারিক প্রেক্ষিতে অসমাপ্ত শিক্ষাজীবন রেখেই মাঝারি গোছের সরকারী চাকুরী নিয়ে সাড়েতিন দশক কেটেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বহুমাত্রিক যাপিত জীবনের অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ।

বর্তমানে স্বেচ্ছায় অবসরে এসে সম্পূর্ণ ভাবেই লেখালেখিতে নিমগ্ন। বিশেষত্বঃ অনলাইনে ও ফেসবুকেই লিখতে সাচ্ছন্দ বোধকরেন, দুইবাংলার প্রায় ৫৬ টি সাহিত্য বিষয়ক গ্রুপেই নিয়মিত লেখালেখি ও সাংগঠনিক দায়িত্বে জড়িত। দেড়শতাধিকবার বিভিন্ন গ্রুপ হতে দিনের সপ্তাহের মাসের সেরা হিসাবে সন্মাননা ও লাভ করেছেন।

ইতিমধ্যেই উনার একক ও যৌথ মিলিয়ে ৭ টি গ্রন্থ প্রকাশিত ও সমাদৃত হয়েছে। এবারের বই মেলায় দুটি একক (“অমাবশ্যায় জোৎস্না স্নান ” ও ” আপনি আলোয় মুক্তিযুদ্ধ “) ও তিনটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ একযোগে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও কলকাতা হতে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে।

জানা গেছে দুইবাংলার সর্ববৃহৎ সাহিত্য বিষয়ক অনলাইন সংগঠন “বাংলা কাব্য পরিবার” এর পক্ষ হতে এবারের একুশের বইমেলায় আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী-২০১৯, শুক্রবার মাননীয় সংস্কৃতি ও তথ্য মন্ত্রী, বাংলা একাডেমি চেয়ারম্যান. সহ বিশিষ্ট কবিদের উপস্থিতিতে উনাকে “কাব্য পথিক ” সন্মাননা পত্র, উত্তরীয় ও ক্রেষ্ট প্রদান করে সন্মানিত করা হবে।

পাঠক ডট নিউজের সাথে পচারিতায় জানাগেছে তিনি পড়েছেন এবং পড়েন চর্যাপদ প্রাচীন বাংলাসাহিত্য হয়ে হালের সমকালীন কবিদের লেখা, কিন্তু পরিবর্তিত সমাজ বাস্তবতা তথা পঠন বিমুখ শিক্ষিত শিক্ষার্থীদের ভেবেই লিখেন অত্যন্ত সহজ সাবলীল ও চেনা শব্দের বিন্যাসেই।

বর্তমানে সীতাকুণ্ড সমিতি সহ এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার কার্য্যক্রমে নিয়মিতই অংশগ্রহন করে আসছেন ও ব্যাপক পরিচিতি ও লাভ করেছেন। তিনি অনুধাবন করেছেন যে সীতাকুন্ডে অনেক জ্ঞানী গুনী লেখক সাহিত্যিক আছেন, যারা চট্রগ্রাম সহ জাতীয় ভাবেই নন্দিত। কিন্তু দুঃখজনক ভাবে সীতাকুন্ডেরই শিক্ষিত ও শিক্ষার্থীদের মাঝে তেমন ভাবে পরিচিত নন।

তাই তিনি কয়েকজন মেধাবী উদীয়মান কবিকে নিয়ে “আসুন সীতাকুন্ডের লেখকদের সাথে পরিচিত হই” নামের একটি উদ্যোগ করেছেন। ” সীতাকুণ্ড সমিতি, চট্টগ্রাম” এর বার্ষিকী অনুষ্ঠান সহ রাজনীতি মুক্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবিষয়ে লিফলেট বিতরন, পুস্তক প্রদর্শনী করে যাচ্ছে একক প্রয়াস ও অর্থায়নে। যা সংস্কৃতির সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট প্রশংসিত হয়েছে।

জানাগেছে বইমেলায় সীতাকুণ্ডের সকল লেখকদের নাম, পরিচিতি, প্রকাশিত গ্রন্থের তালিকা নিয়ে একটি পুস্তিকা প্রকাশের প্রক্রিয়ায় আছেন, যেটি সন্মাদনায় আছেন কবি মঈন ফারুক, প্রকাশক “চন্দ্রবিন্দু প্রকাশন।

বইমেলা /১৯ উপলক্ষে প্রকাশিত হতেযাচ্ছে অত্র “অমাবশ্যায় জোৎস্নান” ও “আপন আলোয় মুক্তিযুদ্ধ “সহ ৩ টি যৌথ কাব্যসংকলন। যদিও সহজ রোমান্টিক মেজাজের লেখাই বেশী সাচ্ছন্দ, তবু বিভিন্ন সামাজিক প্রক্ষাপটে নিয়মিত আলোকপাত করে লিখেন। বিষয় বৈচিত্রে ও সাবলীল উপস্থাপনায় লেখাগুলো সকল শ্রেনীর পাঠকের ভাল লাগবে আশা করা যায়।