অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নগরীতে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক পণ্যসহ গ্রেফতার ১০

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বাকলিয়া থানা এলাকার একটি গোডাউন থেকে ১৫৫ বস্তা চোরাই রাসায়সিক মালামাল (সিবিসি রেজিন তাইওয়ান হোয়াইট) উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

এঘটনায় জড়িত চোর চক্রের ১০ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আজ রবিবার (৬ জানুয়ারি) দিনভর চাক্তাই ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন জননী পোল্ট্রি এন্ড ফিশ ফিড এর গোডাউনে অভিযান চালিয়ে বিদেশ থেকে আমদানীকরা এসব রাসায়নিক পণ্য উদ্ধার ও এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন নগর গোয়েন্দা (বন্দর) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পঙ্কজ দাশ (৫১), মো. হোসেন (২৬), সজল দেব (৪১), মো. সালাউদ্দিন (২২), আব্দুল মান্নান (৩৪), মো. রাশেদ (৩৬), মো. সেন্টু হাওলাদার (২৯), মো. আবু সুফিয়ান প্রকাশ রুবেল, মো. ফারুক (৩৫) ও মো. আলমগীর প্রকাশ লিটন (৩৫)।

সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, ‘সম্প্রতি চায়না থেকে তাইওয়ান হোয়াইট ব্রান্ডের তিন হাজার ৫৯৪ ব্যাগ সিবিসি রেজিন (রাসায়নিক) আমদানি করে রাফি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। গত ১ জানুয়ারি নগরের উত্তর পতেঙ্গা কাঠগড় এলাকার পুরাতন এয়ারপোর্ট রোডের একটি গোডাউন থেকে সেসব আমদানি পণ্য সাতটি কাভার্ডভ্যানে করে আমদানিকারকের ফ্যাক্টরির উদ্দেশে পাঠানো হয়। কিন্তু সাতটি কাভার্ডভ্যানের মধ্যে দুটি কাভার্ডভ্যান থেকে যথাক্রমে ৭৫ ব্যাগ ও ৮০ ব্যাগ মালামাল কম পাওয়া যায়।’

এ ঘটনায় গতকাল (৫ জানুয়ারি) ওই মালামাল পরিবহনের দায়িত্বে থাকা ‘মেসার্স গুডলাক ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড ট্রেডিং এজেন্সি’র ম্যানেজার বাদী হয়ে পতেঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে অভিযুক্ত গাড়িচালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। পরে নগর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্তে নেমে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দুই চালক মো. সালাউদ্দিন (২২) ও আব্দুল মান্নানকে (৩৪) গ্রেফতার করে,’ বলেন মোস্তাইন হোসেন।

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতার দুই চালক পুলিশের কাছে চুরির ঘটনা স্বীকার করেছে। তারা জানায়- চোরাই মালামালগুলো তাদের সর্দার সেন্টুর কাছে আছে। পরে সর্দার সেন্টুকে আটক করা হলে তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে রিংকু সেন নামের এক ব্যক্তির মালিকানাধীন ‘জননী পোল্ট্রি অ্যান্ড ফিশ ফিড’ নামের দোকানের গোডাউন থেকে চোরাই ১৫৫ ব্যাগ রেজিন তাইওয়ান হোয়াইট উদ্ধার করা হয়। এ সময় চোরাই পণ্য গুদামজাতকরণের অভিযোগে পঙ্কজ দাশ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।’

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা জানান, চোর চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজোসে বিভিন্ন আমদানী ও রপ্তানীর জন্য প্রেরিত পন্য চুরি করে দেশে ও বিদেশে রাষ্ট্রের সম্মানহানি করে আসতেছিল। আসমীদের গ্রফতারে ব্যাবসায়ী মহলে স্বস্তি ফিরে এসেছে।