অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বান্দরবানে ১১৩ বিএনপি নেতাকর্মীর জামিন

0
.

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ
আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিসে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে বান্দরবানে পৃথক তিনটি মামলায় ১১৩ বিএনপি নেতাকর্মীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। রবিবার বান্দরবান সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: হাসান জামিনের এই আদেশ দেন। আসামীপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট মুহাম্মদ আবুল কালাম, আবু জাফর, শামসুল হক এই তথ্য নিািশ্চত করেছেন।

জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম কোম্পানী, সাধারণ সম্পাদক ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো: কামাল উদ্দিন, মহিলাদল নেত্রী ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান হামিদা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল কাশেম, সাইফুদ্দিন বাহাদুর, যুবদল নেতা আবু সুফিয়ান চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, ফয়েজ আহমদ, আমিরুল কবির, শাহ নেওয়াজসহ মোট ১১৩জন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামীরা গত ২৪ডিসেম্বর বাইশারী ইউনিয়নের করলিয়ামুড়া বটতলী বাজার সংলগ্ন আওয়ামীলীগের নির্বাচনী অফিস ঘর ভাংচুর ও পোষ্টার, কাগজপত্র আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলে। এই ঘটনায় ২৫ডিসেম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোক্তার আহমদ (৬৫) বাদী হয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ৫০৬/৩৪ পেনাল কোড রুজু সহ গণপ্রতিনিদ্ধত্ব আদেশ ১৯৭২ (২০১৮ পর্যন্ত সংশোধীত) এর ৭৩ রুজু করেন। এই মামলায় মোট ৮০জনকে এজাহার নামীয় সহ ২০/২৫জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছিল।

অপরদিকে গত ২৬ ডিসেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চাকঢালা বাজারে আওয়ামীলীগের নির্বাচনী প্রচারণা অফিস ঘরে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ তুলে ৮১জনকে এজাহার নামীয়সহ মোট ৮০/৮৫জনকে অজ্ঞাত আসামী করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা করেন মো: ফয়েজ উল্লাহ (৪৫)।

.

এছাড়াও ২২ ডিসেম্বর ছেলেকে হামলার অভিযোগ তুলে ২৬জনকে এজাহার নামীয়সহ ৪০/৫০জনকে আসামী করে মামলা করে ২৩ ডিসেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ০৭ নম্বর মামলা করেন আওয়ামীলীগ নেতা উপেন্দ লাল কারবারী (৪৮)। এসব মামলায় জামিন নিতে রোববার বিএনপি নেতাকর্মীরা ভীড় জমান। এসময় আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনও দেখা যায়।

নির্বাচনের সময় মামলায় ক্ষতিগ্রস্থ কর্মী সমর্থকদের খবর নিতে আদালত পাড়ায় ছুটে যান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাচিং প্রু জেরী। সকাল ১০টায় তিনি আদালত চত্বরে গিয়ে নেতাকর্মীদের খোঁজ নেন। পরে আদালত চত্বরের সামনে শতাধিক নেতাকর্মীদের নিয়ে দুপুরের খাবার খান তিনি। সর্বশেষ সন্ধ্যায় ৬টায় আদালতে জামিনের জন্য আসা নেতাকর্মীদের জামিন কার্যক্রম শেষ করে তাদের বিদায় দেন। টানা আট ঘন্টা আদালত চত্বরে প্রবীণ এই নেতার উপস্থিতি দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও আদালত পাড়ায় নজর কাড়েন।

অন্যদিকে উপজেলা পর্যায়ের এসব নেতাকর্মীদের জামিন কার্যক্রম চলাকালীন আদালত চত্বর থেকেই গ্রেফতার হন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মহতুল হোসেন যত্ন। এই নেতাকে আটক করতে সকাল থেকে পুলিশ মোতায়েন করা আদালত এলাকায়। দীর্ঘক্ষণ বার এসোসিয়েশনে অবস্থানের পর দুপুর ২টার দিকে বেরিয়ে আসলে পূর্ব থেকে সাদা পোষাকে অবস্থান করা পুলিশ যত্নকে আটক করে থানায় নিয়ে যান। এসময় সহকর্মী কয়েকজন আইনজীবিও সাথে ছিলেন।