অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নাইক্ষ্যংছড়িতে মাদরাসা অধ্যক্ষ ও ছাত্রীর অন্তরঙ্গ ‘সেলফি’ নিয়ে তোলপাড়

0
.

আবুল বাশার নয়ন, বান্দরবানঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে এক মাদরাসা অধ্যক্ষ ও ছাত্রীর অন্তরঙ্গ সেলফি ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। নাইক্ষ্যংছড়ি মদিনাতুল উলুম মডেল ইনষ্টিটিউট আলীম মাদরাসার অধ্যক্ষ ছৈয়দ হোসেন এবং আলীম ১ম বর্ষের এক ছাত্রীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

তাদের অন্তরঙ্গ সেলফি ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবৎ মাদরাসা সুপার ছৈয়দ হোসেন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়ম ও দূর্নিতী করে আসছে। মাদরাসার অন্যান্য শিক্ষকরাও তার অদৃশ্য শক্তির কাছে জিম্মী ছিল।  এরই মধ্যে নিজ পরিচালিত মাদরাসার আলীম ১ম বর্ষে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অসহায়ত্বের সুযোগে তার বাড়িতে থাকার সুযোগ দেন ছৈয়দ হোসেন।

গত শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ছাত্রী ও অধ্যক্ষের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায় মাদরাসা সুপার গায়ে চাদর মুড়িয়ে ছাত্রীর সাথে অন্তরঙ্গ মূহুর্তের দৃশ্য।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর শিক্ষার্থী ও অবিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পর মাদরাসা পড়ুয়া ওই ছাত্রীকে নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়েছে তার পরিবার।

এদিকে, ভাইরাল হওয়া ওই ছাত্রীর পিতা আবদুল গফুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন- ওই শিক্ষক আমাকে বাবা ডাকছে। সম্পর্কে আমার মেয়ে ও অধ্যক্ষ ভাই-বোন। ছবির বিষয়টি নিয়ে মানুষ ষড়যন্ত্র করছে। তবে, ঘটনার পর মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার কথাও স্বীকার করেন তিনি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে মাদরাসা সুপার ছৈয়দ হোসেন বলেন- কোন ছবির বিষয়ে আমি জানিনা। ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবির বিষয়ে পাল্টা প্রশ্নের উত্তরে তাঁর কোন বক্তব্য নেই বলে মোবাইলের সংযোগ কেটে দেন।

নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও মাদরাসা গর্ভনিংবডির সদস্য তসলিম ইকবাল চৌধুরী জানান-‘বিষয়টি’ নিয়ে দু’য়েক দিনের মধ্যে মাদরাসা কমিটি বৈঠক করবেন। এর আগে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়।

মদিনাতুল উলুম আলীম মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোঃ শফি উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফেইসবুকে একটি ছবি ছড়িয়ে পড়ার খবর শুনেছি। বিষয়টি সত্য-মিথ্যা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অভিযোগের বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া আফরিন কচি বলেন- মাদরাসা শিক্ষকবৃন্দ এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিবেন বলেছে। তবে এখনো পর্যন্ত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।