অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার বিচার কি আদৌ হবে!

0
.

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার এবং মেহেরুন রুনিকে হত্যাকাণ্ডের সাত বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ ১১ ফেব্রুয়ারি। ২০১২ সালের এই দিনে ঢাকায় পশ্চিম রাজাবাজার এলাকায় নিজ বাসায় তারা নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন।

ঘটনার সময় ওই বাসায় থাকা তাদের একমাত্র ছেলে মাহি সরওয়ার মেঘ বেঁচে যায়। মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন সাগর সারওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন মেহেরুন রুনি।

ঘটনার পর রুনির ভাই বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা।

এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি ৮ জন। মামলার অপর আসামিরা হলেন বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

আসামিদের প্রত্যেককে কয়েকবার করে রিমান্ডে নেওয়ার পরেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি আদালতে।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক গোলাম মোস্তফা সারোয়ার ওরফে সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন নাহার রুনা ওরফে মেহেরুন রুনি দম্পতি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারে নিজ বাসায় খুন হন। হত্যাকাণ্ডের পর রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে ডিবি রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয়। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তবে ছয় বছরেও মামলার কোনো অগ্রগতি করতে পারেনি তারা।