অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের সাইনবোর্ড থেকে জিয়ার নাম মুছে দিয়েছে ছাত্রলীগ

0
.

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আততীয়দের হাতে নিহত সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম জিয়া স্মৃতি যাদুঘরের সাইনবোর্ড থেকে জিয়ার নাম মুছে দিয়েছে ছাত্রলীগ যুবলীগের কর্মীরা।

আজ (১২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্রফোরাম, চট্টগ্রাম মহানগর শাখার ব্যানারে কাজীর দেউড়িস্থ সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় মানববন্ধন পালন শেষে ছাত্রলীগ যুবলীগের কর্মীরা জিয়া স্মৃতি জাদুঘরের গেইটের সামনে লাগানো সাইন বোর্ড থেকে জিয়ার নামটি মুছে দেন। তারা গেইটে শিক্ষা উপমন্ত্রী ও সাবেক সিটি মেয়র মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী পুত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান নওফেলের ছবি সম্বলিত একটি ব্যাপার টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন।

মুছে ফেলার আগের ছবি।

মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছাত্র ফোরামের সভাপতি ও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুর রহিম শামীমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ও নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক রাহুল দাশের পরিচালনায় মানববন্ধন ছাত্রলীগ নেতারা বলেন-

জিয়া একজন বিতর্কিত নেতা, তার নামে কখনও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাদুঘর হতে পারে না। স্বাধীনতা দিবসের আগে এ জাদুঘরের নাম পরিবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর নামকরণ করতে হবে।’

এর আগে গতকাল ঢাকায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করার প্রস্তাব দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

.

এ বিয়য়ে শিক্ষা উপমন্ত্র ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সাংবাদিকদের বলেন, জিয়া স্মৃতি জাদুঘরকে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি জাদুঘর করা হচ্ছে। এটি চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধাসহ সর্বস্তরের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল। আমি এই আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে প্রস্তাবনা দিয়েছি। যেহেতু সবার সম্মতি আছে তাই এখন লিখিত প্রস্তাবনা দিলে হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য ১৯৮১ সালের ৩০ মে এই সার্কিট হাউজে কিছু সংখক সেনা কর্মকর্তাদের হাতে নিহত হন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ১৯৯১ সালে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ১৯৯৩ সালে এই সার্কিট হাউজকে জিয়া স্মৃতি জাদুঘর করা হয়।

এদিকে জিয়া স্মৃতি যাদুঘরের নাম পরিবর্তন ও ছাত্রলীগ কর্তৃক সাইনবোর্ড মুছে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সুফিয়ান।

তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার নাম মুছে ফেলতে এবং তার দল বিএনপিকে নিশ্চিন্ন করে দিতে বর্তমান সরকার নানা অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।  সাইন বোর্ড মুছে কিংবা জিয়াউর রহমানের নাম পরিবর্তন করে এদেশে কোটি কোটি মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে ফেলা যাবে না। তিনি এ ঘটনার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।