অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চবিতে আতঙ্ক, বোমা নয় বেগুন!

0
.

বোমাসদৃশ্য বস্তু পড়ে থাকতে দেখে রাতভর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বোমাটি উদ্ধার এবং নিস্কৃয় করতে সারারাত সিএমপির বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের তোড়জোড় চলে। কিন্তু সকালে দেখা গেলো বস্তুটি আসলে বোমা নয়, এটি একটি বড় বেগুন!

চবির ছাত্ররা জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিনের কার্যালয়ের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে একটি বোমাসদৃশ্য বস্তু দেখা যায়। এরপর থেকেই সারা ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আশপাশের এলাকা ঘিরে রাখে পুলিশ।

কালো টেপে মোড়ানো চ্যাপ্টাকৃতির বস্তুটি বোমা কি না নিশ্চিত হতে এবং যদি বোমা হয় তাহলে তা নিষ্ক্রিয় করতে ডাক পড়ে সিএমপির বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় চৌকস এ দলের সদস্যরা মূল ঘটনাস্থলে হাজির হন। আধুনিক বোমা নিষ্ক্রিয়করণ যন্ত্রপাতির সহায়তা নিয়েই কাজে নেমে পড়েন তারা। চারপাশ পর্যবেক্ষণের পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দূর থেকে এটিকে ফাটিয়ে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু না। শেষমেশ দেখা গেল কালো ট্যাপে মোড়ানো একটি বেগুন! এর দুই পাশে লাল কালো ইলেকট্রিক তার ছিল।

.

সিএমপির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্য রাজেশ বড়ুয়া জানান, একটি বেগুনে দুইটি তার ও কালো টেপ মুড়িয়ে বোমার মতো করে সেটি রেখে যাওয়া হয়েছিল। এর চারদিকে সংযুক্ত ছিল লাল বৈদ্যুতিক তার। এটি দেখতে অবিকল হ্যান্ডগ্রেনেডের মতো। আতঙ্ক ছড়াতে বেউ এ কাজ করেছে।

তবে এর পেছনে কারা থাকতে পারে সে বিষয়টি খুঁজে পেতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ৷

হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বোম ডিসপোজাল ইউনিট আসার পর বোমাসদৃশ বস্তুটি দূর থেকে ফাটিয়ে নিস্ক্রিয় করে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, সেটা ছিল কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো একটা বেগুন। এটির সাথে বৈদ্যুতিক তার যুক্ত ছিল।

তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছি। যে বা যারাই করে থাকুক দ্রুত খুঁজে বের করব।