বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা-বিরোধী ভূমিকার জন্য জাতির কাছে জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। একই সঙ্গে যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছে, তাদেরও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বুধবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী সকলের শাস্তি ও বিচার চায় তাদের দল।
‘একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াতকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে, এখন এটি সকলের দাবি। স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতা করার জন্য জামায়াতকে লজ্জা প্রকাশ করা উচিত বা ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। এটি যুক্তিসংগত দাবি,’ বলেন বিএনপি নেতা।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যারাই স্বাধীনতা বিরোধী কাজ করেছে, আমরা অবশ্যই তাদের শাস্তি ও বিচার চাই।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ ফসল যে গণতন্ত্র, সেই গণতন্ত্র যারা হত্যা করেছে, তাদেরও জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
বিএনপি নেতার মতে, ‘আমরা মনে করি, যারাই অপরাধ করবে, তাদের সবারই ক্ষমা প্রার্থনা করা উচিত। আমরাও যদি কোনো ভুল কাজে জড়িত হই, তবে আমাদেরও জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। তবে, দুর্ভাগ্যক্রমে আমাদের দেশে এ রীতির প্রচলন নেই।’
জামায়াতের নতুন দল গড়ার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে নজরুল বলেন, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জামায়াত এখনও ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে রয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে কখনই বলা হয়নি যে, তারা ২০ দলীয় জোটের সঙ্গে থাকতে চান না।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জোট ত্যাগের বিষয়ে জামায়াতের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রয়েছে।
আসন্ন উপজেলা নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদার মন্তব্য সম্পর্কে নজরুল বলেন, ‘দেশের জনগণের সিইসিরও ওপর কোনো আস্থা নেই। সারাদেশের মানুষ তাকে ‘অযোগ্য’ মনে করে। একটি দলে পক্ষে কাজ করে দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নষ্ট করার জন্য তাকে দোষারোপ করে।’
এর আগে, জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়ার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নজরুল। সেখানে তারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।