অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভুজপুরে শিমুল হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন

0
.

জেলার ফটিকছড়ির ভুজপুরে “শিমুল মহাজন” হত্যাকারীদের বিচার দাবী ও মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরীহ গ্রামবাসীকে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শিমুলের স্ত্রী প্রিয়াংকা রানী দে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন প্রিয়াংকা। এসময় তিনি বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারী তাঁর শাশুরী ,ভাশুর ও চাচা শাশুর মিলে শিমুল মহাজনকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করে। এর পর উল্টো প্রিয়াংকা পিতাসহ গ্রামের লোকজনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক দোষীদের গ্রেফতার এবং গ্রামবাসির নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে প্রিয়াংকা বলেন, সমাজে বংশ মর্যাদার আড়ালে বসবাস করা একদল খুনি তাঁর কাছ থেকে তাঁর স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে কেড়ে নিয়েছে।

উল্লেখ্য- উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের কার্তিকপুর গ্রামে পাশাপাশি বাড়ী হওয়ার সুবাধে ২০১০ সালে শিমুলের সাথে প্রিয়াংকার সম্পর্ক সুত্র ধরে ২০১২ সালে কোর্টে এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দুজন। কিন্তু শিমুলের পরিবার এ বিয়ে মেনে নেয়নি। তারা শিমুলরা “মহাজন” আর প্রিয়াংকাদেও পরিবার “দে” এ স্ট্যাটাসের অজুহাতে শিমুলের মা শাশুরী চিনু মহাজন কোনভাবেই ছেলের স্ত্রী হিসেবে প্রিয়াংকাকে মেনে নিতে রাজি হননি। নিজে সামাজিক ভাবে প্রিয়াংকাকে স্ত্রী’র মর্যাদা দেয়ার আপ্রান চেষ্টা চালায়।

১৫ ফেব্রুয়ারীর সিদ্ধান্ত মতে পরের দিন ১৬ ফেব্রুয়ারী সনাতন ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দুজনের বিয়ের রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা। ১৬ ফ্রেবুয়ারী ভুজপুর থানার ওসি এলাকার পুজা কমিটির সভাপতি বাবুল কান্তিকে দায়িত্ব দেন যেন বিবাহ রেজিস্ট্রি করানোসহ এ সংক্রান্ত কাজ গুলো তার দায়িত্বে সম্পন্ন করেন। উভয় পক্ষ থেকে মুচলেখা নিয়ে একটি আপোষ নামাও লেখা হয়। ১৬ ফ্রেবুয়ারী সন্ধ্যায় পঞ্জিকামতে লগ্ন দেখে সন্ধ্যা ৭টায় বাড়ীর পাশে মন্দিরে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার কথা।

থানায় পুলিশের সামনে প্রিয়াংকার বাবাকে অপমান,বাড়ীতে এবং থানায় দফায় দফায় শিমুলকে অপমান করা হয়। এসব অপমান সইতে না পেরে শিমুল নিজের ফেসবুকে লাইভ দিয়ে বলেন যে আমি নিজের জীবন নিজে আত্মাহুতি দেব। আমি ফাঁসিতে ঝুলে মরে যাব। এর ঠিক কিছুক্ষন পর মন্দিরের পাশে গিতাস্কুলের পিছনে ঘরের চালের কেঁচির সাথে ফাঁসিতে ঝুলানো অবস্থায় শিমুলের মরদেহ পাওয়া যায়।

পুলিশ আসার অপেক্ষ না করে নিজেরাই লাশ নামিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এর পর উল্টো তারা মিথ্যা আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় প্রিয়াংকার পিতাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে। এ ছাড়া সমাজের বেশ কিছু গন্যমান্য ব্যক্তির নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তাদের বাড়ী ঘরে হামলাও চালিয়ে ভাংচুরও করছে । তিনি তাঁর স্বামীর মৃত্যুও ঘটনা সুষ্ঠ তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার পূর্বক যথাযথ বিচারের দাবী জানান।

সংবাদ সম্মেলনে প্রিয়ংকার মা শিখা রানী দে, লায়ন স্বপন মল্লিক, মিহির কুমার মহাজন, পরিতোষ কান্তি দে, প্রদীপ কান্তি দে, সমীর কান্তি দে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।