অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সেই প্রতারক মনিরের জামিন না মঞ্জুর

0
গ্রেফতারকৃত মনির।

চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া প্রতারক চক্রের সদস্য মনির আহম্মদ প্রকাশ মনিরকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। গত ১ মার্চ শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর খুলশী থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল।

আজ সোমবার চট্টগ্রামের চীফ জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন নাহার রুমির মনিরের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন। সকালে তার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবি এড.ইব্রাহিম হোসেন বাবুল আদালতে জামিন আবেদন করেন। শুনানী শেষে আদালত আসামী পক্ষের আবেদন নাকচ করে দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবি এড.আফসার উর রশিদ ও এড. মানিক দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, মনির আহম্মদ প্রকাশ মনির তার দাদী ছমনা খাতুনের আম মোক্তার নামা মূলে পূর্ব নাছিরাবাদ মৌজার বিএস খাতিয়ান ৪১৯ এবং বিএস দাগ ২৪২৬ আর অন্দর পাঁচ গন্ডা গৃহসহ বিক্রি করেন। উক্ত জায়গা ফটিকছড়ি উপজেলার হরিণাদীঘি এলাকার মাস্টার ফয়েজ আহমদ ক্রয় করেন।

মনির আহম্মদ বিক্রয়ের পর ২০০৪ সালের ১১ এপ্রিল ২৬৪৬ নং সাব কবলা মূলে উক্ত জায়গা মাস্টার ফয়েজ আহমদের নামে বিএস সৃজিত হয়। এরপর থেকে ওই জায়গায় বিদ্যুৎ লাইন, ওয়াসার পানির লাইন, গ্যাস লাইন সবই মাস্টার ফয়েজ আহমদ সংযোগ দিয়ে জায়গা খাজনা দাখিলা সব পরিশোধ করে আসছে। কিন্তু রেজিস্ট্রি হওয়ার তিন বছরের মাথায় ছমনা খাতুনের মৃত্যুর পর মনির আহমদ ও ফ্রট মঞ্জুর আহমদ যোগসাজসে আরো অধিক টাকা লাভের আশায় মাস্টার ফয়েজ আহমদ উক্ত জায়গাটি ফেরত দিবেন মর্মে মিথ্যা ও জাল অঙ্গিকার নামা সৃষ্টি করেন। যাতে মাস্টার ফয়েজ আহমদের স্বাক্ষর জাল করেন।  উক্ত জাল করা কাগজপত্র দিয়ে মনির আহমদ চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটিতে মনির আহমদের মিথ্যা জাল জালিয়াতির প্রকাশ পাওয়ায় আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। পরবর্তীতে ঐ খারিজ রায়ের বিরুদ্ধে মনির আহমদ আবার হাইকোর্টে আপিল দায়ের করেন পর্যায়ক্রমে মহামান্য হাইকোর্টেও ওই আপিল খারিজ করেন। কিন্তু নিম্ন আদালতে রায় বহাল রাখেন।

এদিকে, মিথ্যা জাল জালিয়াত করে বিভিন্ন আদালতে মামলা করেও ক্ষ্যান্ত হননি মনির। তিনি আদালতের মামলা খারিজ হওয়ার কথা গোপন রেখে বিক্রি করা জায়গাটি আবার অন্য মানুষের কাছে বিক্রি করার জন্য চিটিং মনির ও ফ্রট মঞ্জু পায়তারা করেন।

ফলে মাস্টার ফয়েজ আহমদের ছেলে গোলাম কিবরিয়া বাদি হয়ে চিটিং মনির আহমদ এবং ফ্রট মঞ্জুর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯৮/১৯ মামলা দায়ের করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ৪৬৮/৪৭১/৪০৩/৪২০ ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। পরে গ্রেফতার করার জন্য খুলশী থানাকে আদেশ দেন।

*চট্টগ্রামে প্রতারক ও জালিয়াতি চক্রের সদস্য মনির গ্রেফতার