অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ডিজিটাল ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে হবে চট্টগ্রাম : আইসিটি মন্ত্রী

0
.

আইসিটি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রাম আগামীতে ডিজিটাল ব্যবসা বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। বিশ্বে শিল্প বিপ্লব, বিদ্যুৎ বিপ্লব ও ইন্টারনেট বিপ্লব ঘটেছে।  চট্টগ্রাম শিল্পনগরী হিসেবে পরিচিত। মীরসরাইতে ইকোনমিক জোন হচ্ছে। আগামী ৫ বছরে সব কারখানায় ডিজিটাল প্রযুক্তি কাজে লাগাতে হবে। দেশে এমন কোনো ইউনিয়ন থাকবে না যেখানে হাইস্পিড ইন্টারনেট থাকবে না। ইন্টারনেট একটি অবকাঠামো।

তিনি আজ সোমবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রামে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন ও জেলা পর্যায়ে আইটি  পার্ক স্থাপন প্রকল্পে জমি প্রদানকারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সঙ্গে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন,  হাইটেক পার্কের জন্য জায়গা প্রদান করার প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আইসিটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছেন। আগামীতে দেশ উন্নয়নে আইসিটির উপযোগিতা তিনি অনুভব করেছেন। আমি অভিভূত হলাম। কোনো প্রশ্ন, শর্ত ও বিধিবিধান ছাড়া একবাক্যে জায়গা দিয়ে দিলেন। এতে করে মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের পাশাপাশি আমার শ্রদ্ধাবোধও বেড়ে গেল।

.

মন্ত্রী বলেন, মেয়র ভবিষ্যৎতের সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম দেখতে পেয়েছেন। কারণ বন্দরের জাহাজ চলাচল বা চসিকের দৈনন্দিন কার্যক্রম নির্ভর করে প্রযুক্তির ওপর। চট্টগ্রামের অবস্থান ভিন্ন। সারাবিশ্বের সঙ্গে চট্টগ্রামের যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকায় তো সমুদ্রবন্দর নেই। চট্টগ্রাম ডিজিটাল ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চট্টগ্রামকে সহায়তা করা মানে বাংলাদেশকে সহায়তা করা। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে বাংলাদেশের উন্নয়ন। গ্রামকে শহর করব- এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা। আমরা ডিজিটাল চট্টগ্রাম তৈরি করতে সহযোগিতা করব। হাই-টেক পার্ক এ ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

নগর ভবনের চসিক সভা কক্ষে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনে সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরনগর, বাণিজ্যিক রাজধানী। এ নগরের মেয়র আইটি পার্কের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছেন। বন্দরনগরীতে দু’এক বছরের মধ্যে প্রযুক্তিনগরে পরিণত হবে। শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের জ্ঞানভিত্তিক কর্মসংস্থান হবে। বিগত ১০ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে।

তিনি জানান, ১০ বছর আগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৫৬ লাখ, এখন ১০ কোটি। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব হয়েছে ৯ হাজার। আরও হবে ২৫ হাজার ৫০০টি।

বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং চসিকের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সামসুদ্দোহা এই সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মো. ইসমাইল, হাসান মুরাদ বিপ্লব, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ ও চসিক কমকর্তারা।

.

এদিকে এর আগে সকালে নগরীর নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ই-লার্নিং মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আইসিটি মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, আমাদের বাবা-মায়ের মধ্যে একটা ধারণা কাজ করে- সন্তানরা ইন্টারনেট ব্যবহার করলে, গেইম খেললে নষ্ট হয়ে যাবে। তবে আমার মত এর উল্টোটা। আমি মনে করি, প্রতিটি ছেলে-মেয়ের ইন্টারনেট ব্যবহার করা উচিত। গেইম খেলা উচিত। সন্তান যদি নষ্ট হয়, ইন্টারনেট কিংবা গেইম খেলার কারণে নষ্ট হয় না। তারা নষ্ট হয়, বাবা-মায়ের যত্নের অভাবে।