অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আবাসন ব্যবসার সে কালো মেঘ অনেকটা কেটে গেছে-ভুমিমন্ত্রী

0
.

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন,আবাসন ব্যবসা একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে সাত/আট বছর আগে।  এখন সে কালো মেঘ অনেকটা কেটে গেছে। আমি এর ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে নগরীর ৫তারকা হোটেল রেডিসন ব্লুর হল রুমে আবাসন মালিকদের প্রতিষ্ঠান রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) আয়োজিত ৪দিনের রিহ্যাব ফেয়ার-২০১৯ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আবাসন ব্যবসা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর। একসময় বিশ্বের সবচেয়ে ধনীরা ছিল আবাসন ব্যবসায়ী।  বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এ ব্যবসার শুরু বেশী দিন নয়।

বর্তমান জনবান্ধব সরকার দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে জনগণের শিক্ষা চিকিৎসা ও বাসস্থানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। জনগণ এখন বুঝতে পারছে উন্নয়নের মূল শর্ত হচ্ছে একটি (স্টেবেল) ধারাবাহিক সরকার।

আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১০ বছর যেভাবে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানুষের মৌলিক যে সমস্ত চাহিদা অন্ন বস্ত্র, শিক্ষা, স্বাস্থ, বাসস্থান এগুলো চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে।  সে কারণে সরকারের প্রতি মানুষের আস্তা বেড়ে গেছে।

.

আমাদের জাতিসংঘের এ্যামেনিচি গোল্ডে তথা মিলিনিয়াম ডেপালেফমেন্ট গোল্ড সেখানে বাংলাদেশ বেশ সফল হয়েছে। বাংলাদেশের রেফারেন্স বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশে দেয়া হয়।

ভুমিমন্ত্রী আরো বলেন, আমি আশা করবো রিয়েল এস্টেট ব্যবসা সামনের দিকে শক্ত অবস্থান নিয়ে এগিয়ে যাবে। তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকবে কম খরচে আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেন তাহলে আপনারা সফল হবে। মনে রাখতে হবে কম খরছে বেশী ব্যবসা করতে পারলে আপনাদের মন মানষিকতার পরিবর্তন আনতে হবে। উন্নত দেশের মত মাইক্রো হাউজিং মাইক্রো এ্যাফাটমেন্ট এর চিন্তা করতে হবে।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামে রিয়েল এস্টেট ব্যবসা এখনো ঢাকার চেয়ে পিছনে পড়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন কাজলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট-৩ কামাল মাহমুদ, রিহ্যাব চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল কৈয়ুম।

উদ্বোধনী অধিবেশনের সভাপতি রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামীন কাজল তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাসস্থান মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম, তিনি উল্লেখ করেন দেশে প্রায় ৩০ লক্ষ ফ্ল্যাটের চাহিদা রয়েছে। অথচ সরকারী এবং রিহ্যাব সদস্যদের মাধ্যমে বছরে মাত্র ১০ শতাংশ আবাসন সরবরাহ করছে, যা চাহিদা অনুযায়ী নিতান্তই কম। এজন্য তিনি এই সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের পৃষ্ঠপোষকতার দাবী করেন।

রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০১৯ এর উদ্বোধনী অধিবেশনে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন রিহ্যাব এর পরিচালক ও চেয়ারম্যান ফেয়ার স্ট্যান্ডিং কমিটি, রিহ্যাব জনাব শাকিল কামাল চৌধুরী, রিহ্যাব ডিরেক্টর ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো-চেয়ারম্যান (১) আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ দিদারুল হক চৌধুরী এবং রিহ্যাব এর ডিরেক্টর ও চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির কো-চেয়ারম্যান (২) মাহবুব সোবহান জালাল তানভির।

.

পরে ভুমিমন্ত্রী ফিতা কেটে এবং বেলুন উড়িয়ে ৪ দিন ব্যাপী রিহ্যাব ফেয়ার-২০১৯ এর উদ্বোধন করেন।

এবার মেলায় ৫৬টি স্টল থাকছে। এরমধ্যে কো-স্পন্সর হিসেবে অংশগ্রহণ করছে ১৭টি প্রতিষ্ঠান, বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস ৭টি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ১১টি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

এছাড়া রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টায় মেলা প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের অংশ হিসেবে কেক কাটা হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ও সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান । একইসঙ্গে ৬৩ পথশিশুর এক মাসের খাবার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

মেলার স্পেন্সর হয়েছে চট্টগ্রামের শিল্প প্রতিষ্ঠান কবির স্টিল লিঃ (কেএসআরএম)।

উল্লেখ, চট্টগ্রামে ১২তম রিহ্যাব ফেয়ার হিসেবে এই আবাসন মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের ফেয়ারে চট্টগ্রামের স্বনামধন্য আবাসন কোম্পানি এপিক প্রপাটিজ, এএনজেড প্রপার্টিজ, র‌্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ, সানমারসহ মোট ৫৬টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহন করছে। বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসসহ কয়েকটি লিংকেজ প্রতিষ্ঠানকে মেলায় অংশগ্রহনের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। ব্যাংক, অর্থলগ্নিকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালসহ মেলায় সর্বমোট স্টলের সংখ্যা ৭৬টি। এর মধ্যে এএনজেড প্রপার্টিজ, র‌্যাংকস এফসি প্রপার্টিজ, ইকুয়িটি, সানমারসহ মেলার কো-স্পন্সর প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১৭টি।

১৪ থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীরা মেলা পরিদর্শন করতে পারবেন। এবারের মেলার দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ টিকিটের মুল্য রাখা হচ্ছে সিঙ্গেল এন্ট্রি ৫০ টাকা এবং মাল্টিপল এন্ট্রি (৪ বার) ১০০ টাকা।

এবারের মেলায় ৩০০০ প্লট এবং ২০০০ ফ্ল্যাট বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে রিহ্যাব চট্টগ্রাম। মেলা চলাকালীন ১৫ মার্চ রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠত হবে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কেটে পালন করা হবে শিশু দিবস।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম রিজিওনাল কমিটির সদস্য জনাব রেজাউল করিম, আবদুল্লাহ আল মামুন, জনাব নাজিম উদ্দিন, মোরশেদুল হাসান, রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০১৯ এর অর্গানাইজিং কমিটির সদস্য জনাব এয়াছিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার শেখ নিজাম উদ্দিন, শহিদুল ইসলাম, জনাব সৈয়দ ইরফানুল আলম এবং চট্টগ্রাম রিজিয়নের সদস্যবৃন্দ।

রিহ্যাব চট্টগ্রাম ফেয়ার ২০১৯ এর উদ্বোধনী অধিবেশন স্পন্সর করে কবীর রিরোলিং মিলস লি: (কেএসআরএম)।