অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

“আল মাহমুদ অবিষ্মরণীয় হয়ে থাকবেন”

0
.

বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি আল মাহমুদ তাঁর সৃষ্টিকর্মে অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন। বাংলা সাহিত্যে নতুন নতুন সংযোজন কবি আল মাহমুদকে অন্যদের থেকে আলাদা করার পাশাপাশি অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে।

মূলধারার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন “আমাদের গল্পকথা” চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি এবং “বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিবার (বাসাসপ)” চট্টগ্রাম মহানগরী শাখার যৌথ উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি কবি আল মাহমুদের স্মরণ সভায় বক্তারা এমন অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

১৫ মার্চ ২০১৯ শুক্রবার বিকাল তিনটায় মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে কবি উপবান বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কবিতা পরিষদ এর সভাপতি কবিআরিফ চৌধুরী, কবি মাঈন উদ্দিন জাহেদ, বাসাসপ এর উপদেষ্টা কবি শাহ মোহাম্মদ নিয়ামত উল্লাহ, ‘আমাদের গল্পকথা’র কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক কবি সৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহান, বাসাসপ’র কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক কথাশিল্পী মুহাম্মদ ইয়াকুব, কবি সাজীব চৌধুরী, সাংবাদিক আরফাত হোসেন বিপ্লব, প্রবীণ গীতিকবি আব্দুল হাকিম।

কবি মাঈন উদ্দিন জাহেদ বলেন, আল মাহমুদ যেই মেসেজ তাঁর লেখার মাধ্যমে আমাদের নিকট রেখে গেছেন যেগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আল মাহমুদকে বেশি বেশি পড়তে হবে।

কবি আরিফ চৌধুরী স্মৃতিচারণ করে বলেন, দীর্ঘসময় কবি চট্টগ্রামে অবস্থান করে চট্টগ্রামের সাহিত্যাঙ্গনকে শক্তিশালী করেছেন।

শাহ মোহাম্মদ নিয়ামত উল্লাহ বলেন, কবি আল মাহমুদ তাঁর সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।

প্রাবন্ধিক সৈয়দ আসাদুজ্জামান সুহান বলেন, কবি আল মাহমুদ শুধুমাত্র একজন কবি নন, তিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। কাজেই উনাকে যারা স্বাধীনতা বিরোধী হিসেবে মন্তব্য করে তারা স্বাধীনতার মূল চেতনার বিপক্ষে কথা বলে।

কথাশিল্পী মুহাম্মদ ইয়াকুব বলেন, সক্রেটিসকে বিষপানের মাধ্যমে হত্যা করা হলেও সক্রেটিস অমর হয়ে আছেন। আল মাহমুদকে মুছে দেওয়ার প্রচেষ্টাও সফল হবে না, তিনি চিরঅম্লান, অব্যয়, অক্ষয় হয়ে থাকবেন।

সাংবাদিক আরফাত হোসেন বিপ্লব বলেন, আল মাহমুদের মৃত্যুর পর আমি আশা করেছিলাম রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালিত হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, শোক পালন দূরের কথা, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের অন্তিম বিদায়ে কোন বিবৃতিও দেখা যায়নি।

সমাপনী বক্তব্যে স্মরণ সভার সভাপতি কবি উপবান বড়ুয়া স্মরণ সভায় উপস্থিত সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আল মাহমুদকে বেশি বেশি পড়ার মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টিসম্ভার সম্পর্কে বিশদ জানার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

প্রভাষক শ্রাবন্তী বড়ুয়া ও কবি আজাদ শেখের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা ও আল মাহমুদের কবিতা আবৃত্তি করেন, সংগঠক মাসুদ পারভেজ, আবৃত্তিকার কামাল উদ্দিন জিকু, কবি সুপ্রীয় বড়ুয়া, সংগঠক আবু নোমান মোহাম্মদ হাফিজুল্লাহ, কবি কুতুব উদ্দিন বক্তিয়ার, কবি দেলোয়ার হোসেন, সাহিত্য চর্চার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কবি ফাহিম মাহমুদ,কবি বিজয় ম্রোসহ অসংখ্য সাহিত্যকর্মী।