অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে

0
.

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে তাঁর ইচ্ছামাফিক বিশেষায়িত হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।তিনি বলেছেন, জীবন বাজি রেখে রণাঙ্গনে যিনি ঝাপিয়ে পড়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা শহীদ জিয়াউর রহমানের স্ত্রীকে আজ হত্যার ষড়যন্ত্র চলছে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, আর মাত্র চার দিন পরেই মহান স্বাধীনতা দিবস। হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়ে যিনি এই স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে জীবন মৃত্যুকে পরম ভৃত্য করে রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন অসীম সাহসে, যার ঘোষণায় গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, সেই বীরউত্তম শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের জনগণের আস্থার প্রতীক দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে উন্মত্ত হয়ে উঠেছে বর্তমান গণবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকার।

তিনি বলেন, আজ আর দেশের মানুষের বুঝতে এতটুকু বাকি নেই যে, প্রধানমন্ত্রীকে চরম প্রতিহিংসার বাসনা চরিতার্থ করতে পেয়ে বসেছে। তিনি পরিত্যক্ত অন্ধকার স্যাঁতসেতে কারাগারে গুরুতর ও চূড়ান্ত অসুস্থ দেশনেত্রীর যন্ত্রণার ছটফটানি দেখে আনন্দ উপভোগ করছেন।

সরকার খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চায় না মন্তব্য করে রিজভী বলেন, আজ দিবালোকের মতো পরিস্কার যে, তিনি অকল্পনীয় জনপ্রিয় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জীবিত দেখতে চান না।চিকিৎসার অভাবে গুরুতর অসুস্থ ৭৪ বছরের একজন নারী দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে প্রহসনমুলক বিচারের জন্য কারাগারে স্থাপিত মিডনাইট ইলেকশনের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্যাঙ্গারু আদালতে টেনে-হিচড়ে প্রায় প্রতিদিনই হাজির করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিবরণ দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশনেত্রীকে চলৎশক্তিহীন করার জন্য তাঁর সুচিকিৎসা করানো হচ্ছে না। আদালতে আনার আগে তিনি অসুস্থতায় থরথর করে কাঁপছিলেন। বারবার বমি করছিলেন। মাথা সোজা রাখতে পারছিলেন না। মরনাপন্ন অবস্থার মধ্যে টেনে নিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যই দেশনেত্রীকে কোন চিকিৎসা না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জোর জবরদস্তি করে হুইলচেয়ারে বসিয়ে হাজির করা হয় ক্যাংগারু কোর্টে। গত পরশু আদালতে এনে বেগম জিয়াকে বসিয়ে রাখার পর তিনি চোখ মেলতে পারছিলেন না। মাথা স্থির রাখতে পারছিলেন না। বারবার মাথা কাত হয়ে যাচ্ছিল। আদালতে উপস্থিত আইনজীবীরাও তার এই অসুস্থ অবস্থা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন।

কতটা অমানবিক নিষ্ঠুর হিংসুক হলে একজন বৃদ্ধা নেত্রীর ওপর এমন নির্যাতন চালানো সম্ভব এমন প্রশ্ন রেখে রিজভী বলেন, কতটা নিষ্ঠুর হলে প্রৌঢ় মহিয়সী নারীর ওপর এমন বর্বর নিপীড়ন চালানো সম্ভব হয়? দেশের প্রতিটি সচেতন মানুষ এখন প্রশ্ন করছেন,কোন সুস্থ মস্তিস্কের মানুষ কি এতটা নির্মম-নির্দয় হতে পারেন?

প্রধানমন্ত্রীর কথা ও কাজের মধ্যে বিস্তর ব্যবধান মন্তব্য করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বলেন-আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আমার ক্ষমতার দরকার নাই, আবার মিডনাইট নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধ প্রধানমন্ত্রিত্ব ধরে রাখেন। তিনি তো নৃশংসতায় হিটলার-হালাকু খানদের ছাড়িয়ে গেছেন।