অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

স্বাধীনতা ও জিয়াউর রহমানের অবদান অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িতঃ ডাঃ শাহাদাত

0
.

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ২৬মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনে ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে আজ (২২ মার্চ) শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে

নগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিন্মলিখিত কর্মসূচি গৃহীত হয়।

আগামী ২৫ মার্চ সোমবার বিকেল ৩টায় নগরীর ২নং গেইটস্থ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজরীত বিপ্লব উদ্যানে পুষ্পস্তবক অর্পন এবং বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন হলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা।

২৬ মার্চ মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় নাছিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী শুরু হবে। ২৫ মার্চ থেকে সপ্তাহব্যাপী ১৫ থানা ও ৪৩ ওয়ার্ডে নিজ উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস এবং শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবনের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রস্তুতি সভায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের একটি সেক্টরের কমান্ডার ও জেডফোর্সের অধিনায়ক। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন, আবার নিজে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখায় জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন। দেশপ্রেমিক জিয়াউর রহমান সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা যুদ্ধে অবর্তীণ হয়েছিলেন। শহীদ জিয়ার অগ্রণী ভূমিকা এবং মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানকে স্বীকার না করা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জিয়াউর রহমানের অবদান অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বর্তমান সরকার আজকে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের অবদানকে অস্বীকার করতে চায়। যার স্বাধীনতার ঘোষণায় উজ্জ্বীবিত হয়ে এদেশের মানুষ মুক্তির সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তাকে এদেশের মানুষ চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

প্রস্তুতি সভায় নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, স্বাধীনতার চার দশক পর বাংলাদেশ আজ এক গভীর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যদিয়ে পথ চলছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ হুমকির মুখে। জাতীয় জীবনে এই সংকটময় মুহুর্তে শহীদ জিয়া এবং জিয়া পরিবারের উপর বর্তমান সরকারের জুলুম নির্যাতনের জবাব দিতে মহানগর বিএনপি ঘোষিত কর্মসূচি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সফল করতে হবে। বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, চট্টগ্রাম ষোলশহর বাজারের ঘাটিতে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টর অধিনায়ক জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দিয়ে মাতৃভূমিকে শক্রমুক্ত করার জন্য দীপ্ত শপথ গ্রহণ করেছিলেন। স্বাধীনতার বার্তা কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন।

প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এমএ আজিজ, মোঃ মিয়া ভোলা, সবুক্তগীন ছিদ্দিকী মক্কি, মোঃ ইকবাল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মোঃ শামসুল হক, শাহেদ বক্স, কামরুল ইসলাম, বিএনপি নেতা- শিহাব উদ্দিন মুবিন, হাজী নুরুল আক্তার, মোঃ আলী, অধ্যাপক ঝন্টু বড়ুয়া, আব্দুল বাতেন, শেখ নুরুল উল্লাহ বাহার, থানা বিএনপি সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মোঃ সেকান্দর, রফিকুল ইসলাম, মোঃ ইদ্রিস আলী, মোঃ শাহজাহান, আব্দুল আজিজ, আবু মুছা, আব্দুল হাই, সালা উদ্দিন লাতু, স্বেচ্ছাসেবক দলের বেলায়েত হোসেন বুলু, বিএনপির মোঃ সাহাব উদ্দিন, জাহিদ হাসান, আব্দুল কাদের জসিম, মনজুরুল কাদের মিন্টু, মোঃ ইলিয়াছ, শাহেদা বেগম, রেজিয়া বেগম মুন্নি, স্বেচ্ছাসেবক দলের জিয়াউর রহমান জিয়া, মহিলা শ্রমিক দলের শাহ নেওয়াজ চৌধুরী মিনু, তাঁতীদল জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির এসএম মফিজ উল্লাহ, আব্দুল্লাহ আল ছগির, মনজুর আলম মনজু, মোঃ বেলাল, ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, সিরাজুল ইসলাম মুন্সি, এসএম আবুল কালাম আবু, জাহেদ উল্লাহ রাশেদ, মোস্তাক আহমদ, ফিরোজ খান, হাজী মোঃ জাহেদ, মোঃ হাসান, মোঃ আবু ফয়েজ, নগর যুবদল নেতা মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, আসাদুর রহমান টিপু, মোঃ সালাহ উদ্দিন, রাজন খান, মোঃ নওশাদ প্রমুখ।