অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রবিবার পটিয়া বোয়ালখালী চন্দনাইশ ও বাঁশখালী উপজেলা নির্বাচন

0
.

আগামীকাল (২৪ মার্চ) রবিবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৪ উপজেলা নির্বাচন। উপজেলা গুলো হচ্ছে-পটিয়া, চন্দনাইশ, বোয়ালখালী ও বাঁশখালী।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে বন্ধ হয়ে গেছে প্রার্থীদের সকল ধরনের প্রচার-প্রচারণা।

তৃতীয় ধাপে আগামীকাল রবিবার (২৪ মার্চ) দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৪ উপজেলায় ভোট গ্রহণের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার লোহাগাড়া উপজেলা সহ ৫ উপজেলায় ব্যালট পেপার, সিল, অমোচনীয় কালি, মার্কার পেনসহ সকল নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে গেছে। ভোটগ্রহনের জন্য ১০ হাজার ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা প্রস্তুত রয়েছেন। ইতিপূর্বে তাদের প্রশিক্ষণ দেয় নির্বাচন কমিশন।

২৪ মার্চ দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬ উপজেলা পরিষদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আনোয়ারা উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছেন। তাই এই উপজেলায় ২৪ তারিখ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।

এছাড়া লোহাগাড়া উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আদালতে মামলার কারণে শুক্রবার স্থগিত করা হয় নির্বাচন।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহমুদুল হক পিয়ারুর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পরও ব্যালটে তার মোটরসাইকেল প্রতীক ছাপানো হয়। এ বিষয়টি নজরে এনে একই পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী ছলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালত শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাচন স্থগিতের আদেশ জারি করে।

এদিকে আনোয়ারা উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দীতায় নির্বাচিত হওয়ায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।

বোয়ালখালীতে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন। নির্বাচনের মাত্র চারদিন আগে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম নুরুল ইসলামকে জানানো হয় তার প্রতীক বদলে গেছে। ছাতা নয় তাকে দোয়াত কলম নিয়ে নির্বাচন করতে হবে।

পটিয়ায় লড়ছেন নৌকা প্রতিকের প্রার্থী দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। অন্যদিকে বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করলেও দলের নেত্রী ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা বেগম জলি এবার লড়ছেন চেয়ারম্যান পদে। এছাড়া চট্টগ্রাম নগর যুবলীগ সদস্য সাজ্জাদ হোসেন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বাঁশখালীতে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন। তারা হলেন- নৌকা প্রতীকের চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব সাদলী। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ও বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম। সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মৌলভী নুর হোসেন।

চন্দনাইশে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা একেএম নাজিম উদ্দীন ও পর পর দু’বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী।

নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মুনীর হোসাইন খান জানান, গতকাল রাত থেকেই প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে। রবিবার নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য সকল ধরনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আদালতে মামলার কারণে রবিবার লোহাগাড়া উপজেলায় ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।

নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত, র‌্যাবের ফোর্স, পুলিশ ও আনসারের পর্যাপ্ত ফোর্সসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বলয় থাকবে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।