অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সিলেটে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা মেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে হত্যা

0
.

সিলেটের শেরপুরে এক বাসের চালক ও তার সহকারীর বিরুদ্ধে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে চলন্ত গাড়ি থেকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন সহপাঠী নয়ন।

নিহত ওয়াসিম আফনান সিকৃবির বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ও হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রুদ্র গ্রামের মো. আবু জাহেদ মাহবুবের ছেলে।

ওয়াসিমের সহপাঠীরা জানান, সিকৃবির ১১ শিক্ষার্থী ময়মনসিংহ-সিলেট রুটের উদার পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ভ-১৪-১২৮০) চড়েন। ভাড়া নিয়ে তাদের সাথে বাসের চালক ও সহকারীর বাক বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা ভাড়া পরিশোধ করে শেরপুরে বাস থেকে নেমে আসছিলেন। ওয়াসিম ছিলেন সবার পেছনে। তিনি বাস থেকে নামার আগেই তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয়। এরপর বাসের চালক গতি বাড়িয়ে দিলে গাড়িটি ওয়াসিমের শরীরের ওপর দিয়ে চলে যায়।

সিকৃবির ছাত্র শিপলু রায় বলেন, ওয়াসিমের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায়। তারা কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে নবীগঞ্জের টোলপ্লাজা থেকে উদার পরিবহনে উঠেন।

শিপলুর অভিযোগ, তারা শেরপুরে নামার সময় বাসের সহকারী তাদের ধাক্কা দেন এবং জোর করে দরজা লাগিয়ে দেয়াতে ওয়াসিম বাসের নিচে চাপা পড়েন।

পরে আহত ওয়াসিমকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসমানী হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশের এসআই ফারুক আহমদ জানান, হাসপাতালে আনার পর চিকিৎসকরা ওয়াসিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওয়াসিমের বন্ধুরা আরও জানান, ঘটনার পর তারা সিলেটের দিকে গিয়ে সড়কের পাশে বাসটি দাঁড়ানো দেখতে পেলেও চালক, সহকারী ও বাকি যাত্রীদের কাউকে সেখানে পাননি।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুল ইসলাম বলেন, ওয়াসিমসহ সিকৃবির কয়েকজন ছাত্র ঘটনাস্থলে নামার সময় চালকের সহকারী বাসের দরজা লাগিয়ে দেন এবং চালক বাস দ্রুত চালিয়ে গেলে ওয়াসিম বাসের নিচে পড়ে নিহত হন।

পুলিশ বাসটি ধাওয়া করে ওসমানী নগর উপজেলার বেগমগঞ্জ থেকে আটক করেছে তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন বলে জানান এসআই কামরুল।

এদিকে, ওয়াসিম হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন সিকৃবির শিক্ষার্থীরা। ওসমানী হাসপাতাল থেকে তাদের বিক্ষোভ দক্ষিণ সুরমার বাস টার্মিনালে যায়। সেখানে তারা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান।