অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মানসম্মত শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নয় : শিক্ষামন্ত্রী

0
.

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার মানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। ক্যাম্পাসে গঠনমূলক পরিবেশ, সহশিক্ষা কার্যক্রম ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সুযোগ্য নাগরিক ও আলোকিত মানুষ তৈরি করা হোক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ব্রত। মানসম্মত শিক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবেনা।

তিনি আজ রোববার (৩১ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর দি কিং অব চিটাগাং কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত বেসরকারি পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সমাবর্তনে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তরের জন্য সরকার মানসম্মত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সুশিক্ষা ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই ২০১০ সালে প্রণীত আইন মেনে চলতে হবে।’

.

মন্ত্রী দিপু মনি আরও বলেন, আমাদের যুবসমাজ কখনো স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তির কাছে মাথা নত করেনি। বরং জাতির প্রতিটি সংকটময় মুহূর্তে তারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। আগামী দিনেও ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গঠনে তারা অবদান রাখবে বলে আমি আশা করি। বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় বিশাল যুবসমাজের সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।

.

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার পর আমাদের মধ্যে একটা ধারণা জন্মায় যে, উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করলে আমাদের বোধহয় দাফতরিক কাজ ছাড়া আর কিছু করা উচিৎ নয়। কিন্তু কোনো অর্জনই ছোট নয়। কোনো ক্ষুদ্র প্রয়াসই ছোট নয়। একজন কৃষকের উৎপাদনের সঙ্গে যখন মেধা যুক্ত হয়েছে তখন বহুজাতিক কোম্পানি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ব্যবহারিক শিক্ষার ওপরও যেন গুরুত্ব দিই। কোনো কাজকেই যেন ছোট মনে না করি। মনে রাখতে হবে, উচ্চশিক্ষা মানে কিন্তু শুধু দাফতরিক কাজ নয়।’

এতে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নুরুল আনোয়ার ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ড. এনামুল হক শামীম।

প্রথম সমাবর্তনে ২ হাজার ৮৮ জন শিক্ষার্থীকে ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। সাত জন শিক্ষার্থী আচার্য স্বর্ণপদক এবং ১২ জন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান স্বর্ণপদক পেয়েছেন।