অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সেনবাগে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষক আটক

0
.

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী (৯) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন অভিযুক্ত সিএনজি অটোরিকশা চালক রাজনকে (২৫)  আটক করে পুলিশে দেওয়ার পর পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় তার সহযোগিরা। পরে পুলিশ তাকে পুনঃরায় আটক করে।

শনিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে আশংকাজনক অবস্থায় ভিকটিমকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে দুপুর ২টার দিকে বসন্তপুর বাজারের একটি সিএনজি গ্যারেজের ভিতরে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।

আটককৃত রাজন ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের সফিক উল্যার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে বাড়ীতে ফিরছিল তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী (৯)। পথে তাঁর প্রতিবেশী ও সিএনজি চালক রাজন তাঁকে বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে সিএনজিতে তুলে নেয় শিশুটিকে। পরে রাজন বসন্তপুর বাজারে এনে ভিকটিমকে সিএনজি থেকে নামিয়ে গ্যারেজের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় ভিকটিমের আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা ছুঁটে এসে রাজনকে আটক করে থানায় অবগত করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে রাজনকে নিয়ে যাওয়ার সময় তার সহযোগি মিজান ও আলমগীর তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে রাতে ছাতারপাইয়া বাজারে অভিযান চালিয়ে পুনঃরায় রাজনকে আটক করে পুলিশ।

এদিকে, ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে প্রথমে তার স্বজনরা সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকেরা শিশুটিকে দ্রুত নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দিলে রাতে শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নোয়াখালীর জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, ভিকটিমকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শারিরীক পরীক্ষা নিরিক্ষা করা হচ্ছে।

সেনবাগ থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গোপাল সূত্রধর বলেন, পুলিশের কাছ থেকে আসামী নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সত্য নয়। ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।