অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

দেশনেত্রীর কাছে খোলা চিঠি

0
My Pic Pass Port Size
আলমগীর নূর

মা-জননী, দেশ-জাতি ও গণতন্ত্র এবং সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী আমাদের মাননীয় চেয়ারপার্সন, মজলুম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপনাকে বিনম্র সালাম এবং শূভেচ্ছা। আপনি ৬ আগস্ট, বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটি, নির্বাহী কমিটি ও উপদেষ্টা কমিটি ঘোষণা করেছেন। ঘোষিত কমিটির মাননীয় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশের তৃণমূল রাজনীতির বিকাশধারার জীবন্ত কিংবদন্তি দেশ ও জাতির ভবিস্যৎ কাণ্ডারী জননেতা তারেক রহমান এবং সুযোগ্য মহাসিচব বাংলার গণমানুষের নেতা মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও বিপ্লবী অভিনন্দন।

14203573_10207048246233911_1421784884_o
বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।                                 আব্দুল্লাহ আল নোমান।

পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করাই মাননীয় নেত্রীর প্রতি বিনয়াবনত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। দৃঢতার সাথে বিশ্বাস করি ঘোষিত কমিটি দেশের গণতন্ত্রীন ক্রান্তিলগ্নে দেশ ও জাতির আশা আকাঙ্খার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে সক্ষম ও সফল হবেন ইন্শা আল্লাহ এবং সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন- সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে।

ঘোষিত কমিটির একটি বিষয় নিয়ে মা-জননী আপনার দারস্থ হওয়া ব্যতীত অন্যকোন উপায় ছিলনা। আর সেটি হচ্ছে- শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী রাজনীতির জাতীয় অভিভাবক আবদুল্লাহ আল নোমান। জাতীয় স্বার্থেই তাঁকে বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে যথাযথ স্থানে পদায়ন করা উচিৎ ছিল, বলে সর্বসাধারণের ধারণা। কিন্তু উল্টো তাঁর অবমূল্যায়ন ও পদবঞ্চনা হওয়ায় আমরা মর্মাহত এবং হতভাগ হয়েছি। নিপিড়িত, শোষিত বঞ্চিত গণমানুষের প্রিয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটি থেকে মাইনাস হওয়ার বিষয়টি আমার মতো বিএনপি’র তৃণমূল পর্যায়ের লাখো লাখো নেতা কর্মী, ভক্ত-সমর্থকগণ মেনে নিতে পারছেনা। কারণ, আমাদের পিতৃতুল্য এই নেতার প্রতি এমন আচরণে আমাদের মতো কোটি কোটি নেতাকর্মী সমর্থকদের হৃদয়ে প্রতিনিয়ত রক্তকরণ হচ্ছে। অশ্রুসিক্ত হচ্ছে আমাদের দু’নয়ন। যদিও জননেতা আবদুল্লাহ আল নোমান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য কিংবা দলের ভাইস চেয়ারম্যান তাতে আমার মতো কোটি কোটি নেতাকর্মীর কিছই যায় আসে না। কারণ, তিনিই আমাদের অভিভাবক। আমরা বিশ্বাস করি শহীদ জিয়ার বিএনপি’র সমার্থক শব্দ হচ্ছে আবদুল্লাহ আল নোমান। আর আবদুল্লাহ আল নোমান-এর প্রতিশব্দ হচ্ছে বিএনপি। রাজনৈতিক বিশ্লেষক থেকে শুরু করে দলের সর্বপর্যায়ের নেতবৃন্দ, সুধিমহল, গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে ও দেশে প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের হাই প্রোফাইল নেতৃবৃন্দ সহ রাজনেতিক সচেতন দেশের সাধারণ মানুষেরও বদ্ধমূল ধারণা ছিল যে, ঘোষিত দলের সর্বোচ্চ নীতির্ধিারণী ফোরাম দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে আবদুল্লাাহ আল নোমানের নাম অবশ্যই থাকবে। কিন্তু না তা হলোনা। বরং জ্যেষ্ঠতা বিবেচনা না করে পদন্নতি এবং পদাবনতি কিংবা পদবঞ্চনা। যা সুস্থ মস্তিস্কের রাজনীতি তৃণমূল কর্মীদের কারোরই পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। দলের নেতৃবৃন্দ থেকে তৃণমূল পর্যায়ের লাখো লাখো নেতা-কর্মী-সমর্থক যারপরনাই হতাশ হয়েছে। শুধু দলের কর্মী-সমর্থক কিংবা নেতৃবৃন্দ নয় হতাশ হয়েছেন দেশের রাজনেতিক বিশ্লেষক ও শুধিজন। হতাশ হয়েছেন, আবদুল্লাহ আল নোমান নিজেই। শুধু তাই নয়, লাখো নেতা কর্মী সমর্থকগণ তাঁকে পদত্যাগ করে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোরর স্নায়ু চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছে।

আবদুল্লাহ নোমান বলেছেন, পদের জন্য আমি কখনো রাজনীতি করিনি, বিএনপিই আমার জীবনের শেষ ঠিকানা’। আমি পদ থেকে পদত্যাগ করলেও শহীদ জিয়ার রাজনীতির আদর্শ ধারণ করে দলের সাথেই কাটিয়ে দিব জীবনের বাকিটা সময়। সাবাস! নেতা সাবাস! সশ্রদ্ধ সালাম প্রিয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান আপনাকে। আপনার পদবঞ্চনায় আমরা রক্তাক্ত ও ক্ষত বিক্ষত হয়েছি, কিন্তু আপনার এমন বিরোচিত ঘোষনায় শুধু আমরা নয়, স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্থপতি আমাদের মহান নেতা শহীদ জিয়ার এই দেশ-জাতি ও গনতন্ত্র আজ গর্বিত হয়েছে। আপনার আদর্শিক ঘোষণায় ধন্য বাংলার গণমানুষ।

আবদুল্লাহ আল নোমান দলের দুর্দিনের কা-ারী। শহীদ জিয়ার সাথে তিনি রাজনীতি করেছেন। শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী রাজনীতির নিউক্লিয়াসের অন্যতম সদস্য এবং জাতীয় রাজনীতির অন্যতম অভিভাবক আবদুল্লাহ আল নোমান। তাঁর মতো কালজয়ী নেতার অপ্রত্যাশিত অবমূল্যায়নে বৃহত্তর চট্টগ্রামসহ প্রায় সারা দেশেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে তাঁর অনুসারীরা। মর্মাহত হয়েছেন তাঁর ভক্ত ও সমর্থকরা। তারাও ইতিমধ্যে নিজেদের অস্তিস্থ টিকিয়ে রাখার স্বার্থে রাজনীতিকে গুড বাই জানানোর ঘোষণা দিয়েছেন। যদিও তা কারোরই কাম্য হতে পারেনা।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর ইতিমধ্যে গোষণা দিয়েছেন বদবঞ্চিতদেরকে আগামী কাউন্সিল পর্যন্ত ধর্য্য ধরতে হবে। কমিটি পুনঃবিবেচনার সুযোগ নাই। আপাততঃ অনুমান করা যাচ্ছে পদাবনতি ও জ্যৈষ্ঠতা লংঘণ করে পদবঞ্চনার ক্ষোভে সৃষ্ট লাখো তৃণমূল নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কোন আলোর মুখই দেখছে না।

মনে করা হচ্ছে, বিএনপি’র রাজনীতিতে আবদুল্লাহ আল নোমানের মতো গুটিকয়েক জাতীয় নেতার অনুপস্থিতি তেমন কোন বিষয় না। আবার কারো কারো ধারণা হতাশা আর ক্ষোভে সরে যাওয়া কিছু নেতার শূন্যস্থানে স্থলাবিষিক্ত করা যাবে নতুনতর কথিত কিছু বাঘা বাঘা নেতাকে। মনে করা আর বিতর্ক করা দিয়ে একটি রাজিৈনতক দল চলতে পারেনা। ভাববার বিষয় হচ্ছে, কে এই জননেতা আবদ্ল্লুাহ আল নোমান? তিনি প্রায় চার দশক ধরে শহীদ জিয়ার কালজয়ী আদর্শের ধারক ও বাহক। রণাঙ্গণের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তীকালের জাতীয় রাজনীতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক পরিমন্ডলের একজন আলোকবর্তীকা ধ্রুবতারা। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার সাথে প্রায় চার দশক ধরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁদের উত্তরাধিকার নতুন প্রজন্মের সাহসি ঠিকানা বাংলাদেশের তৃণমূল রাজনীতি বিকাশধারার জীবন্ত কিংবদন্তী জননেতা তারেক রহমানের নেত্রীত্বে সংগ্রাম লড়াই করতে করতে ব্যাক্তিগত জীবনের সূর্যাস্থে কখন চলে এসেছেন হয়তোবা খেয়ালও করে দেখেন নি। নিজের দল বিএনপি, সর্বোপরি এই দেশ ও জাতিকে দিয়েছেন অনেক কিছু। যাঁর কাছে শুধু বিএনপি নয়, দেশ ও জাতিও চির ঋণী। তাই শুধু দলীয় কারণেই নয়, জাতীয় স্বার্থেই আবদুল্লাহ আল নোমনের মতো কালজয়ী নেতাদের যথাযথ মূল্যায়ণের কোন বিকল্প নাই। স্থিতিশীল ও টেকসই গণতন্ত্র এবং শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী শক্তিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম পর্যন্ত টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বাংলাদেশের সামগ্রীক রাজনৈতিক পটভূমির জীবন্ত কিংবদন্তী জননেতা আবদুল্লাহ আল নোমানকে কারনে অকারণে পদবঞ্চনা কিংবা পদাবনতি শতাব্দির আলোকবর্তীকা স্বরূপ রাজনৈতিক অভিভাবক এই আবদুল্লাহ আল নোমানের মতো এমন জাতীয় নেতার কোন ক্ষতি হবে না বরং দল ও দেশের জাতীয় রাজনৈতিক পরিমন্ডলে তাঁর সম্ভাব্য অনুপস্থিতি দল, জাতি ও টেকসই স্থিতিশীল গণতন্ত্র সর্বোপরি দলের জন্য অশনি সংকেত। জাতীয় কিংবা আঞ্চলিক রাজনীতিতে তাঁদের শূণ্যতা কখনো পূরণ হবার নয়। নোমান শুধু বিএনপি’র সম্পদ নয় তিনি দেশ ও জাতির অমূল্য সম্পদ। আবদুল্লাহ আল নোমান কেবল একজন ব্যক্তি কিংবা নেতা নন, তিনি জাতীয় রাজনীতির একজন পথ প্রদর্শকও বটে। তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতা গড়ার কারিগরই নন, তিনি রাজনীতিবিদ গড়ার কারিগরও বটে। নোমান বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক পরিমন্ডেলের একজন দিকপাল। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বীরত্বপুর্ণ ভূমিকাসহ দেশ এবং শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী শক্তির চার দশকের ইতিহাসের স্বরণীয়, বরণীয় ব্যক্তিত্ব। নিজ দল বিএনপি এবং জাতীয় স্বার্থে প্রতিটি আন্দোলনে জননেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের কালজয়ী ভূমিকা অনস্বিকার্য। তিনি শুধু চট্টগ্রামবাসীর নেতা কিংবা অভিবাবক নন, তিনি সারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাজনীতির একজন অভিভাবক। সারা বাংলাদেশেই তাঁর কোটি কোটি অনুসারী, সমর্থক ও শীষ্য রয়েছে। অপ্রিয় হলেও সত্য হচ্ছে জাতীয় রাজনীতির অনেকেই তাঁর কর্মী ও শিষ্য। নোমানের মান রক্ষার্থেই নয় বরং দলের মান রক্ষার্থেই তাঁর যতাযথ মূল্যায়ন প্রয়োজন। একজন আবদুল্লাহ আল নোমানের রাজনৈতিক ময়দানে অনুপস্থিতি হয়তোবা বিএনপি’র রাজনীতি কিংবা চলমান আন্দোলন সংগ্রামে কোন কমতি হবেনা কিন্তু এ দেশ-জাতি ও দল হারাবে একজন জাতীয় রাজনীতির প্রবাদ পুরুষ। জাতীয় ও দলীয় সংকট মোকাবেলায় কিংবা জাতীয় রাজনীতির ক্রান্তিলগ্নে শত এমপি-মন্ত্রীর সরব উপস্থিতির বিনিময়ে একজন আবদুল্লাহ আল নোমানের মতো দক্ষ ও অভিজ্ঞ নেতার শূণ্যতা কিংবা অপ্রত্যাশিত অনুপস্থিতি কখনো পূরণ হবার নয়। দেশীয় কিংবা বৈশ্বিক রাজনৈতিক পটভূমিতে তাঁর মতো নেতারা যুগে যুগে জন্মগ্রহণ করে না, শত বৎসরে হয়তো বা একজনও জন্মগ্রহণ করে না।

আবদুল্লাহ আল নোমান হচ্ছেন, তিনি যিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আহ্বানে দেশমাতৃকার টানে জীবন বাজি রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। একইভাবে, শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে তাঁর গড়া বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-রাজনৈতিক মুক্তির দলিল শতাব্দির শ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক দর্শন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ আদর্শিক জাগদল ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপিকে দেশের একমাত্র শীর্ষস্থানীয় জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে অভাবনীয় মেধার নজীর স্থাপন করেছেন। শহীদ জিয়ার পরবর্তী রাজনৈতিক পটভূমিতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে শহীদ জিয়ার কালজয়ী দর্শন বিএনপিকে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে সুসংগঠিত করতে ঘুরে বেড়িয়েছেন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া ও রূপসা থেকে পাথুরিয়া। নোমানের জীবনের অর্ধ শতাব্দির বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সর্বাত্বক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে বিএনপিকে গণমানুষের দলে পরিণত করেছেন। প্রথম জীবনে মাওলানা ভাসানীর দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এর গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

পরবর্তীতে শহীদ জিয়ার গড়া জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি, পরে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নেতৃত্বে মূলদল বিএনপির যুগ্ম-মহাসিচব, ভাইস চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম-৯ সংসদীয় আসন হতে বার বার দলীয় এমপি নির্বাচিত হওয়ায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবদুল্লাহ আল নোমানকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব অর্পণ করে সারা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাংগঠনিক ও রাষ্ট্রীয় তথা জাতীয় দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন করার সুয়োগ করে দেন। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্মকাল থেকে তিনি এই রাষ্ট্র, জনগণ ও সংধিান ও সার্বভৌমত্ব বিরোধী সকল কর্তৃত্ববাদী, আধিপত্তবাদী, সাম্রাজ্যবাদী সর্বোপরি বাকশালী ও স্বৈরাচার গংদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ও যুদ্ধ ঘোষণা করে স্বাধীনতা পূর্বকাল এবং পরবর্তী হয়ে আজ অবদি বার বার কারাবরণ করেছেন এবং বার বার সাম্রাজ্যবাদি, আধিপত্তবাদি ও স্বৈরাচারী-বাকশালী সরকার কর্তৃক নির্যাতিত হয়েছেন আবদুল্লাহ আল নোমান।

আজও তিনি দেশ-জনগণ ও সার্বভোমত্বের অতন্দ্র প্রহরী মজলুম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুরুদ্ধার চলমান অন্দোলন সংগ্রামে ও অবৈধ সরকার বিরোধী ভূমিকায় রাজপথ ও গণমাধ্যমে সবার অগ্রভাগে রয়েছেন এবং দুর্দিনে দলের মুখপাত্র হিসাবেও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছেন। আজকের আবদুল্লাহ আল নোমানই ১৯৮৮ সালে বীর চট্টগ্রামের লালদিঘীর ময়দানের এক জনসভা থেকে মাটি ও মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ‘দেশনেত্রী’ খেতাবে ভূষিত করেছিলেন।

অতএব, লক্ষ্য একটাই, অযাচিত কোন তুচ্ছতাচ্ছিলতা কিংবা অবহেলা, উপেক্ষায় যেন এমন একজন জাতীয় বীর রাজনীতি থেকে কোনক্রমেই সরে না দাঁড়ায়।

বিনম্রচিত্তে মাননীয় চেয়ারপারসন মা-জননী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুবিবেচনা প্রসূত দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই- কারণে-অকারণে জ্যেষ্ঠতার বিচার না করে পদবঞ্চনা কিংবা পদাবনতি কোনক্রমেই কাম্য নয়। দেশ-জাতি ও গণতন্ত্র এবং শহীদ জিয়ার জাতীয়তাবাদী শক্তিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম টিকিয়ে রাখার স্বার্থে বীর চট্টলার গণমানুষের অভিভাবক চট্টল বন্ধু খ্যাত জাতীয় রাজনীতির অন্যতম পথ-প্রদর্শক জননেতা আবদুল্লাহ আল নোমানকে জ্যেষ্ঠতার বিবেচনায় দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার কোন বিকল্প নাই। শহীদ জিয়া তাঁর অমর বাণীতেই বলে গেছেন-‘‘ ব্যক্তির চেয়ে দল বড় আর দলের চেয়ে দেশ বড়’। জাতীয় স্বার্থেই জাতীয় নেতার মূল্যায়ণ অপরিহার্য এবং অনস্বীকার্য। প্রায় চার দশক ধরে জাতীয়তাবাদী শক্তির আস্থাশীল নির্ভরতার প্রতীক জননেতা আবদুল্লাহ আল নোমান। আমরা জাতীয়তাবাদী শক্তির স্বার্থে তাঁকে বিএনপি’র সর্বোচ্ছ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে যথাযথ প্রটোকল অনুসারে অন্তর্ভূক্তির জন্য মাননীয় নেত্রী মা-জননীর কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি। তাঁর অনাকাংখিত পদবঞ্চনায় বিএনপি’র কোটি কোটি নেতৃবৃন্দ, কর্মী-সমর্থক ও ভক্তদের মনে হৃদয়ে নিশব্দে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। নোমানকে ‘অযাচিত পদবঞ্চনা’ আমাদেরকে একটি দিকবিজয়ী আঞ্চলিক গানের কথা স্বরণ করিয়ে দেয়- সেটি হচ্ছে-

‘‘ যখন তোমার কেউই ছিল না, তখন ছিলাম আমি, আর এখন তোমার সব হয়েছে পর হলাম আমি’’।

লেখক: সাধারণ সম্পাদক, তারেক রহমান রাজনৈতিক দর্শন চর্চা ও গবেষণা কেন্দ্র,