অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফটিকছড়িতে তালাক দেয়া স্ত্রীর বোনকে হত্যার দায়ে একব্যাক্তির ফাঁসির রায়

0
.

চট্টগ্রামে নয় বছর আগে তালাক দেয়া স্ত্রীর ছোট বোনকে হত্যা মামলায় আদালত শাহ পরান নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবদুল হালিম এ হত্যা মামলার রায় দেন।

একই সাথে আদালত শাহ পরানের ভগ্নিপতি মোহাম্মদ নাসিরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। পাশাপাশি নাসিরকে একলাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার আদালতের পিপি মো. আইয়ুব খান রাতে পাঠক নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন- স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিক্তিতে আদালত হত্রাকাণ্ডের ৯ বছর পর এই রায় ঘোষণা করেছেন তাতে একজনের ফাঁসি ও অপরজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন।

দুই আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে।  গ্রেফতারের পর তাদের সাজা শুরু হবে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার পূর্ব হাসনাবাদ গ্রামের শাহ পরানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় পশ্চিম হাসনাবাদের দেলোয়ারা বেগমের। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ শুরু হয়।  শেষ পর্যন্ত বিয়ের ৩ মাসের মাথায় বিচ্ছেদ ঘটে তাদের।

বিচ্ছেদের পর দেলোয়ারা তার বাবার বাড়িতে চলে যায় তিন মাস পর শাহ পরান তালাক তুলে নিয়ে স্ত্রীকে ঘরে ফেরার জন্য চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু দেলোয়ারা তা প্রত্যাখান করেন।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শাহ পরান ও তার ভগ্নিপতি মোহাম্মদ নাসির ২০১০ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে দেলোয়ারাকে খুন করতে তাদের বাড়িতে যান।কিন্তু দেলোয়ারার পাশে শুয়ে থাকা তার ১০ বছর বয়েসী বোন ফারহানা ইয়াসমিন তাদের দেখে ফেলে।

ফারহানা এ সময় চিৎকার দিলে শাহ পরান ও নাসির তার মুখ চেপে ধরে পেটে ছুরি মেরে পালিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফারহানার মৃত্যু হয়।

ওই ঘটনার পরদিন ফারহানার মা আনোয়ারা বেগম ভুজপুর থানায় দুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৮ অগাস্ট দুইজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

পরে দীর্ঘ ৯ বছর মামলা চলার পর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।