অক্সিজেন কওমী মাদ্রাসা থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
আনিসুর রহমান সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তিনি পরিবারের নিয়ে নগরের শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায় থাকেন।
আজ দুপুরের দিকে মর্গের সামনে আনিসুর রহমান বলেন, চার দিন আগে তাঁর
চার দিন আগে তাঁর ছেলেকে মাদ্রাসার শিক্ষক তারেক আহমেদ মারধর করেন। এ কারণে তাঁর ছেলে মাদ্রাসা থেকে বাসায় চলে আসে। পরদিন বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফের তাকে মাদ্রাসায় পাঠানো হয়। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাদ্রাসা থেকে ফোন করে তাঁকে জানানো হয়, হাবিবুরকে মাদ্রাসায় পাওয়া যাচ্ছে না। আত্মীয়স্বজন মিলে বিভিন্ন জায়গায় হাবিবুরের খোঁজ করা হয়। তবে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত নয়টার দিকে মাদ্রাসা থেকে ফোন আসে। তাঁকে জানানো হয়, হাবিবুর মাদ্রাসার একটি কক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে সেখানে গিয়ে দেখেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করছে।
নিহত ছাত্র হাবিবুর রহমানের পিতা আনিসুর রহমান বলেন, এটা পরিকল্পিত হত্যা আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।
তিনি জানান, ৪/৫দিন আগে তার ছেলেকে এক শিক্ষক মারধর করে। ওই শিক্ষক রাগের বশে তার ছেলেকে মেরে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।
তবে আবু বক্কর সিদ্দিক আল ইসলামিয়া কওমী মাদ্রাসা হেফজ বিভাগের শিক্ষক তারেক আহমেদ এ অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন, গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাদ্রাসায় খেলাধুলা করে হাবিবুর। মাগরিবের পর অন্য শিক্ষার্থীদের দেখা গেলেও হাবিবুরকে পাওয়া যায়নি। পরে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। একপর্যায়ে মাদ্রাসার চতুর্থ তলার একটি কক্ষে তার লাশ পাওয়া যায়। হাবিবুর কেন আত্মহত্যা করেছে আমরা জানি না।