অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বায়োজিদে মাদ্রাসায় ছাত্রের লাশঃ মামলা দায়ের, অধ্যক্ষসহ ৫ শিক্ষক গ্রেফতার

0
.

চট্টগ্রামে বায়েজিদ থানার অক্সিজেন এলাকায় কওমী মাদ্রাসা থেকে ছাত্র হাবিবুর রহমানের (১২) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অধ্যক্ষসহ মাদ্রাসার ৫ শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার সকালে বায়োজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ আবু দাদরা, শিক্ষক মো. তারেক আহমেদ, জোবায়ের, মো. আনাস, ও আব্দুস সামাদ।

এদিকে আজ দুপুরে নিহত ছাত্রের পরিবার এ নিয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

.

বায়েজিদ থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল আবু বক্কর সিদ্দিক আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আজ সকাল ১১টায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে অভিযান চালিয়ে আমরা মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ ৫ শিক্ষককে গ্রেফতার করেছি।

চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানা অক্সিজেন কুয়াইশ সংযোগ সড়কের কওমী মাদ্রাসা থেকে ছাত্রের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।

জানাগেছে শুক্রবার দুপুরে নিহত ছাত্র হাবিবুর রহমানের পিতা আনিসুর রহমান বাদি হয়ে বায়েজিদ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষসহ দুজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য গত বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে মাদ্রাসা ছাত্র হাবিবুর রহমানের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ তাদের ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী আবু বক্কর সিদ্দিক আল ইসলামিয়া নামের ওই মাদ্রাসায় তালা লাগিয়ে দেয়। তারা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে নানান অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও তুলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ওই মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা করা হয়েছে বলে তারা দাবী করেন।

নিহত ছাত্রের পিতা আনিসুর রহমান সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তিনি পরিবারের নিয়ে নগরের শেরশাহ বাংলাবাজার এলাকায় থাকেন।

পিতা আনিসুর রহমান বলেন, চার দিন আগে তাঁর ছেলেকে মাদ্রাসার শিক্ষক তারেক আহমেদ মারধর করেন। এ কারণে তাঁর ছেলে মাদ্রাসা থেকে বাসায় চলে আসে। পরদিন বুঝিয়ে-শুনিয়ে ফের তাকে মাদ্রাসায় পাঠানো হয়। গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে মাদ্রাসা থেকে ফোন করে তাঁকে জানানো হয়, হাবিবুরকে মাদ্রাসায় পাওয়া যাচ্ছে না। আত্মীয়স্বজন মিলে বিভিন্ন জায়গায় হাবিবুরের খোঁজ করা হয়। তবে কোথাও তাকে পাওয়া যায়নি। রাত নয়টার দিকে মাদ্রাসা থেকে ফোন আসে। তাঁকে জানানো হয়, হাবিবুর মাদ্রাসার একটি কক্ষের জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা লাগিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পরে সেখানে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করছে।

আনিসুর রহমান বলেন, এটা পরিকল্পিত হত্যা আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাকে মেরে ফেলা হয়েছে।

তিনি জানান, ৪/৫দিন আগে তার ছেলেকে এক শিক্ষক মারধর করে। ওই শিক্ষক রাগের বশে তার ছেলেকে মেরে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।