অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কাট্টলীতে চালককে হত্যা করে প্রাইভেটকার নিয়ে পালানোকালে ৩যুবককে গণপিটুনী

0
প্রাইভেটকারের ভেতরে নিহত চালকের লাশ।

নগরীর আকবরশাহ থানার উত্তর কাট্টলী এলাকায় প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে কাট্টলী শনি ঠাকুর বাড়ী এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করেছে।

পুলিশের ধারণা যুবকটি ওই কারের চালক। তাকে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে এলাকাবাসী প্রাইভেটকারের চালককে হত্যা করে কারটি ছিনতাই করে পালিয়ে যাচ্ছে সন্দেহ করে তিন যুববকে গণপিটুনী দেয়। এসময় একজন পালিয়ে যায় অপর দুই যুবককে পুলিশে সোপর্দ করে। তাদের ধারণা চালককে হত্যার পর তার লাশ সাগরে ফেলে দিতে যুবকরা কাট্টলী বেড়ি বাধেঁর দিকে যাচ্ছিল।

আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, রাত আনুমানিক ১১টার দিকে একটি প্রাইভেটকার মহাসড়ক থেকে পশ্চিমে কাট্টলী রোড দিয়ে উত্তর কাট্টলী বেড়ি বাধেঁর দিকে যাওয়ার সময় শনি ঠাকুর বাড়ী (ঘোষবাড়ি মন্দির) এলাকা কারটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী সহযোগিতার জন্য দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে কারের পিছনের সীটের নীচে এক যুবকের লাশ পড়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে কারের ৩ আরোহীর কাছে জানতে চাইলে তারা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকলে এলাাবাসীর সন্দেহ হয়। তারা গাড়ী ছিনতাইকারী সন্দেহে ৩ যুবককে ধরে গণপিটুনী দেয়।  পরে পুলিশে সোপর্দ করে।

এলাকার জামাল উদ্দিন নামে এ ব্যবসায়ী জানান, চালককে হত্যা করে ৩ যুবক কারটি ছিনতাই করে চালকের লাশ সাগরে ফেলে দিতে এ পথ দিয়ে যাচ্ছিল। তারা এলাকার লোকজনের কাছে স্বীকার করেছে।

এদিকে খবর পেয়ে মধ্যরাতে আকবরশাহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার এবং গণপিটুনীতে আহত ২ যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।  তাদের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

তবে পুলিশ নিহত যুবক এবং গণপিটুনীতে আহত কারো মান পরিচয় জানাতে পারেননি।

আকবরশাহ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিবুর রহমান জানান, এক ব্যক্তিকে হত্যার পর প্রাইভেটকারে করে সমুদ্রে তার মৃতদেহ ফেলে দিতে নিয়ে যাচ্ছিল তিনজন। । খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় মৃতদেহটি উদ্ধার এবং দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি বলেন, এ সময় দু’জন পালিয়ে যায়। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।