অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

প্রশাসনের নির্দেশ অমান্যের অভিযোগে সাবেক কৃষিমন্ত্রীসহ ২ জনকে মৃত্যুদণ্ড

0
kim
উত্তর কোরিয়ার শাসনক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন কিম জং উন।

উত্তর কোরিয়া একনায়ক কিম জং উন-এর নির্দেশ অমান্য করায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ এক কূটনীতিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটি। অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফ্ট গানের গুলিতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় তাদের। দেশটির রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের সামরিক বিদ্যালয়ে জোড়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

চলতি মাসের গোড়ায় দুই শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক কর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার এক সংবাদপত্র সূত্রে জানা গেছে। ২০১১ সালে তত্‍কালীন শাসক বাবা কিম জং ইল-এর মৃত্যুর পরে উত্তর কোরিয়ার শাসনক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন কিম জং উন। মসনদে বসার পর থেকে প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের একের পর এক কর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে নিকেশ করে চলেছেন এই একনায়ক। চলতি মাসের দু’টি ঘটনা তারই সাম্প্রতিক সংযোজন।

উত্তর কোরিয়ার বেসরকারি সূত্রে পাওয়া খবরে মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্র জুংঅ্যাং ইলবো জানিয়েছে, শাসকের নির্দেশে প্রাক্তন কৃষিমন্ত্রী হোয়াং মিন এবং শিক্ষামন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্তা রি ইংয় জিনকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগ ছিল। তবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি দক্ষিণ কোরিয়ার সংযুক্ত মন্ত্রণালয়, যার আঁওতায় পড়ে উত্তর কোরিয়া বিষয়ক যে কোনও তথ্য।

সম্প্রতি লন্ডনে বহাল উত্তর কোরিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত সপরিবারে দক্ষিণ কোরিয়া সফরে আসার খবর প্রকাশিত হওয়ার ফলে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে কিম জং উন প্রশাসন। তার পরেই এই জোড়া মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার খবর রাষ্ট্র হয়েছে। সাধারণত এই ধরনের সংবাদ সরকারি ভাবে প্রচার করে না উত্তর কোরিয়া সরকার। যদিও ২০১২ সালে দেশের তত্‍কালীন দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী নেতা তথা কিমের কাকা জ্যাং সং থায়েকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার সংবাদ সরকারি ভাবেই প্রচার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার অভিযোগ আনে সরকার।

২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার হয়ে চরবৃত্তি এবং বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে হত্যা করা হয় উত্তর কোরিয়ার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিউং ইয়ং চোলকে।