অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

জাহাজের মাল বিক্রির কথা বলে ডেকে নিয়ে প্রতারণা

0
.

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি,চট্টগ্রামঃ
জেলার সীতাকুণ্ডে জাহাজের মালামাল বিক্রির কথা বলে ডেকে নিয়ে এক ব্যবসায়ীকে আটক রেখে কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করতে গিয়ে আটক হয়েছে ইকবাল নামে এক যুবক।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটানাটি ঘটেছে উপজেলার ভাটিয়ারী এলাকায়।

পুলিশ জিম্মি ব্যবসায়ীকে উদ্ধার ও প্রতারক চক্রের সদস্য ইকবাল (২৫)কে আটক করছে পুলিশ।

জানা গতকাল গতকাল মঙ্গলবার দুপুর তিনটার সময় মোহাম্মদ সোহেল (৩৮) নামের মাদামবিবির হাট এলাকার এক ব্যবসাীর কাছে অজ্ঞাত এক মোবাইল থেকে ফোন করে জাহাজের স্ক্রাপ মালামাল আছে বলে ভাটিয়ারী এলাকার পশ্চিমে একটি ঘরে যেতে বলে, সোহেল ঐ এলাকায় গেলে তাকে একটি ঘরে নিয়ে আটক করে বাহির থেকে দরজা বন্ধ দেয়।

সোহেল বলেন, আমাকে ঘরে ঢুকিয়ে কিছুক্ষণ পর তারা একটি মেয়েকে রুমে নিয়ে আসে, এরপর তারা জোড় করে আমার শরীর থেকে সব কাপড় খুলে ফেলে, মেয়েটিও তার শরীর থেকে কাপড় খুলে ফেলে, দুইজনকে জোর করে খাটে শুইয়ে দিতে চাইলে আমি বাঁধা দিলে আমাকে ব্যাপক মারধর করে। এসময় মোবাইল দিয়ে ছবি তুলে। এরপর বলে যে, ১০ লক্ষ টাকা আনতে বলে। আমি এত টাকা কোথায় পাবো বললে তারা বলে ৫ লক্ষ টাকা দিতে। টাকা দিতে না পারলে ছবিগুলো ইন্টারনেটে ছেড়ে দিবে এবং বলে যে, টাকা না দিলে আমাদের একশ জনের মতো ছেলে আছে তাদেকে বলবো তুই এই মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেছিস।

অনেক বাড়াবাড়ির পর তারা বলে যে দুই লক্ষ টাকা দিতে হবে। তারা আমার মোবাইল থেকে আমার ব্যাবসায়ী পার্টনার শামিমকে কল দিয়ে দুই লক্ষ টাকা আনতে বলে, শামিম বিষয়টি আঁছ করতে পেরে স্থানীয় চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিনকে জানালে তিনি থানাকে অবহিত করলে সীতাকুণ্ড থানার এসআই জুলফিকার পুলিশ নিয়ে সাদা পোশাকে ঐ এলাকায় গিয়ে অবস্থান নেয়।

প্রতারক চক্র রাত ৯ টার দিকে ভাটিয়ারী এলাকায় মসজিদের পাশের একটি গলিতে টাকা নিয়ে আসতে বলে, শামিম একটা প্যাকেট নিয়ে গলির ভিতরে গেলে এক যুবক টাকা নিতে আসলে ঐ সময় ওৎ পেতে থাকা পুলিশ তাকে আটক করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান নাজীম উদ্দিন।

এব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই জুলফিকার হোসেন বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চক্র ব্লাকমেইল কাজে জড়িত। একটি সফল অভিযানের মাধ্যমে ইকবাল নামের একজনকে আটক করা হয়। সে ভাটিয়ারী এলাকার ছবির আহমদের ছেলে। এ প্রতারণার সাথে একটি বড় চক্র জড়িত। অপহ্নত ব্যবসায়ী সোহেল রানা বি-বাড়িয়ার কসবা থানার শ্যামপুর গ্রামের মৃত ফিরোজ আলমের পুত্র। সে বেশ কয়েক বছর ধরে মাদামবিবির হাট এলাকায় পুরানো জাহাজের স্ক্রাপের ব্যবসা করে আসছেন।