অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি বানিজ্যে ধ্বস নামার আশংকা

0
.

বেনাপোল (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষে বিতর্কিত নির্দেশনার কারনে বেনাপোল -পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বানিজ্যে বড় ধরনের ধ্বস নামার আশংকা করছেন বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা। দেশের সর্ব বৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪/৫ শ’ পন্য বোঝাই ট্রাক আমদানি হয় ভারত থেকে।যাহার অধিকাংশ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানার কাচামাল। কিন্তু ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষে বিতর্কিত নির্দেশনার ফলে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হয়েছে ৭৪ ট্রাক বিভিন্ন প্রকারের বাংলাদেশি পণ্য। আর ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ১৮৪ ট্রাক পণ্য।

কোলকাতার চীফ কাস্টমস কমিশনার স্বাক্ষরিত এক আদেশে বলা হয় এখন থেকে ভারত থেকে যত পন্য বাংলাদেশে রফতানি হবে তার প্রতিটি চালান’র পন্য পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় ট্রাক থেকে আনলোড করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন করেই রফতানির অনুমতি দেবেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। অনুরুপভাবে বাংলাদেশ থেকে যে সব পন্য রফতানি হবে সেসব পন্য ট্রাক থেকে খালাশ করে শতভাগ পরীক্ষা করেই খালাশের অনুমতি দেওয়া হবে।

ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষের হঠাৎ করে এ ধরনের নির্দেশনায় আমদানি বানিজ্য অর্ধেকে নেমে আসবে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীদের। প্রতিদিন ৪/৫’শ ট্রাকের পন্য আনলোড করে কিভাবে পরীক্ষন কাজ সম্পন্ন করে রফতানি করা হবে। ফলে বাংলাদেশী পন্য রফতানিতেও বড় ধরনের ধ্বস নামার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। কারন বর্তমানে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ও কালিতলা পার্কিংএ ৫ হাজার পন্য বোঝাই ট্রাক আটকে আছে যত্রতত্র। ফলে সরকারের রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ধ্বস নামার আশংকা করছেন বন্দর ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠনগুলো।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের পেট্রাপোল বন্দর এলাকায় বিভিন্ন অব্যবস্থাপনায় এমনিতেই একটি পণ্য চালান ভারত থেকে আমদানি হয়ে বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আসতে ১৫ দিন সময় লেগে যায়। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া ঢালাও ভাবে পেট্রাপোল বন্দরে এবার পণ্য চালান শতভাগ পরীক্ষাতে এ ভোগান্তি আরও দ্বিগুণ বাড়বে। এতে পণ্য খালাস একদিকে যেমন কঠিন হয়ে পড়বে তেমনি আমদানি খরচও বেড়ে দ্বিগুন হবে। যার প্রভাব পড়বে দেশীয় বাজারে।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, ভারতীয় কাস্টমস এর এই আদেশে দু দেশের আমদানি রফতানি বাণিজ্য সম্পাদন কঠিন হয়ে যাবে। বিশেষ করে পচনশীল পণ্য চালান রফতানি আরো কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।

ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ল্যান্ডপোর্ট সাব কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, ভারতীয় পেট্রাপোল কাস্টমস সহ-কমিশনারের স্বাক্ষরিত একটি আদেশ পাওয়া মাত্রই বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার/সিঅ্যান্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনসহ বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দফতরে অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এখনই না বসলে এ বন্দর দিয়ে বাণিজ্য মুখ থুবড়ে পড়বে বলেও জানান তিনি।

বেনাপোল কাস্টমস’র সহকারী কমিশনার আকরাম হোসেন জানান, এ বিষয়ে ভারতীয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ তাদেরকে কোন চিঠি দেয়নি। তবে ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকদের কাছ থেকে বিষয়টি শুনেছি। এ নিয়ম চালুতে দ্রুত বাণিজ্য সম্পাদন মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হবে তিনি জানান।