অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নুসরাত হত্যার পরিকল্পনাকারী রানা রাঙামাটি থেকে গ্রেফতার

0
.

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী ইফতেখার উদ্দিন রানা (২১)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ শনিবার ভোর রাঙামাটি সদরের টিঅ্যান্ডটি আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মঈনউদ্দিন।

পিবিআইয়ের ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার রানাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নুসরাত হত্যা মামলায় ইফতেখার উদ্দিন রানার নাম নেই। তদন্তে তার সংশ্লিষ্টতার তথ্য বেরিয়ে আসে। কারাগারে অধ্যক্ষ সিরাজের সঙ্গে দেখা করার পর তার অনুসারীরা মাদ্রাসার হোস্টেলে যে বৈঠকে নুসরাতকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যার পরিকল্পনা হয়, সেই বৈঠকে ছিলেন ইফতেখার রানা।

রানা সোনাগাজীর চরগনেশ এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর সে রাঙামাটি চলে যায়। তাকে ফেনীতে পাঠানো হয়েছে।

নুসরাত হত্যাকাণ্ডে ইফতেখার উদ্দিন রানাসহ ২০ জনকে আটক করা হয়।

গত ৬ এপ্রিল সকালে আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যায় নুসরাত জাহান রাফি। মাদ্রাসার এক ছাত্রী সহপাঠী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করেছে, এমন সংবাদ দিলে সে (নুসরাত) ওই ভবনের তৃতীয় তলায় যায়। সেখানে মুখোশপরা ৪/৫ জন ছাত্রী নুসরাতকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়।

অস্বীকৃতি জানালে তারা নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল (সোমবার) রাতে অধ্যক্ষ সিরাজউদদৌলা ও পৌর কাউন্সিলর মুকছুদ আলমসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন অগ্নিদগ্ধ রাফির বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান।

ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজহারের ৮ জন গ্রেফতারসহ মোট ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ৪ জন। ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকেও আটক করেছে পিবিআই। রুহুল আমিন নুসরাতের প্রতিষ্ঠান সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি। এই কমিটি অবশ্য শুক্রবারই বাতিল হয়ে গেছে।

এ চাঞ্চল্যকর মায়লায় সর্বশেষ গ্রেফতার হল রানা।