অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হোটেলে সিরিজ বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ১৫০

0
.

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডে’র প্রার্থণা চলাকালে তিনটি গির্জা ও বেশ কয়েকটি হোটেল বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দেড় শতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫ শতাধিক লোক।

আজ রবিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ইস্টার সানডে উদযাপনকালে রাজধানী কলম্বো ও তার আশেপাশের তিনটি গির্জা এবং তিনটি হোটেলে এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

.

কলম্বোর কোচিচিকাদের সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় হামলাটি ঘটে কুতুয়াপিটায়ে-এর সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চে দ্বিতীয় হামলা হয়। আর তৃতীয় বিস্ফোরণটি ঘটে নেগোম্বো শহরের বাত্তিকালোয়া চার্চে। এছাড়া কলম্বোর তিনটি পাঁচ তারকা হোটেলেও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় আটটা ৪৫ মিনিটের দিকে ইস্টার সানডে’র অনুষ্ঠান চলার মধ্যে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।

.

শ্রীলঙ্কার পুলিশ এসব হামলা ও প্রাণহানির সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কী কারণে কারা এ হামলা চালিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।
দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন তারা বিস্ফোরণের বিষয়ে তথ্য খতিয়ে দেখছেন। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে শিগিগরই জরুরি বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন।

.

কলম্বোর সেন্ট অ্যান্থনি চার্চে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই বিস্ফোরণের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন বিস্ফোরণে পুরো ভবন কেঁপে ওঠে। দ্বিতীয় আরেকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে রাজধানী কলম্বোর উত্তরে নেগোম্বো শহরের আরেকটি চার্চে। নিজেদের ফেসবুক পাতায় সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছে ওই চার্চ কর্তৃপক্ষ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে কুতুয়াপিটায়ে-এর সেন্ট সিবাস্তিয়ান চার্চের অভ্যন্তরণে ছিন্নভিন্ন ছাদের ছবি দেখা গেছে। মেঝেতে রক্ত পড়ে থাকার ছবিও দেখা গেছে।

.

সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দেশ শ্রীলঙ্কার মাত্র ছয় শতাংশ মানুষ ক্যাথলিক খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। দেশটির দুই নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী তামিল ও সিংহলিজ উভয়ের মধ্যেই এই ধর্মাবলম্বীদের দেখতে পাওয়া যায়।

গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রাজধানী কলম্বো ও আশেপাশের এলাকায় চালানো হয়েছে এ জোরালো হামলা। বিস্ফোরণের লক্ষ্যবস্তু ছিলো কোচিকারে, কাটুয়াপিটিয়া, বাত্তিকালোয়া চার্চ । এছাড়া, শহরের সাংগ্রি লা, কিংসবারি এবং সিনামন গ্র্যান্ড হোটেলেও জোরালো বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করা হচ্ছে। স্থানীয় হাসপাতালগুলোয় ভর্তি করা হয়েছে অনেক’কে। যাদের বেশিরভাগ মানুষের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এখন পর্যন্ত কেউ হামলার দায় স্বীকার করেনি।