অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মধুর চেয়েও মিষ্টি হোক দাম্পত্য সম্পর্ক

0
.

পৃথিবীতে সবচেয়ে ভালোবাসাময় , বিশ্বাসপূর্ণ আর পবিত্র সম্পর্ক হিসেবে আমরা দাম্পত্য সম্পর্ককে বিনা দ্বিধায় প্রথম সারিতে রাখতে পারি। দাম্পত্য সম্পর্ক মানেই দুজন মানুষের খুঁনসুটি আর একে অপরকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার এক অসীম চেষ্টা। কিন্তু সম্পর্ক তৈরি করার থেকে সম্পর্ক রক্ষা করাটা অনেক কঠিন কাজ। আমি নিজে বিশ্বাস করি সম্পর্ক জিনিসটা একটা আয়নার মতো, আয়না যেমন রোজ রোজ পরিষ্কার না করলে এক সময় সেখানে আর আপনার অবয়ব ঠিকঠাক ফুটে উঠবে না। ঠিক একই ভাবে সম্পর্কের সঠিক যত্ন আর সেটার খেয়াল না করলে এক সময় কখন আপনি সম্পর্ক থেকে পিছিয়ে পড়বেন বুঝতেও পারবেন না। তাই আপনার দাম্পত্য সম্পর্ক প্রাণবন্ত আর মধুময় রাখতে আপনাকেই দায়িত্ব নিতে হবে এর সঠিক দেখাশোনার।

আসুন দেখি কী উপায়ে আপনার দাম্পত্য সম্পর্ক রাখবেন মধু চেয়ে মিষ্টিঃ

সঙ্গীর ভালো শ্রোতা হয়ে উঠুনঃ
দাম্পত্য জীবন মধুময় রাখার পূর্ব শর্ত হল নিজেকে আপনার সঙ্গীর কাছে একজন ভালো শ্রোতা হিসেবে উপস্থাপন করা। আপনার সঙ্গী যখন খুব আগ্রহ নিয়ে আপনাকে কিছু শেয়ার করবে আপনার করনীয় হবে সমপরিমাণ আগ্রহ নিয়ে তার কথা শোনা।

সঙ্গীর প্রশংসা করতে কার্পণ্য করবেন নাঃ
প্রিয় মানুষের কাছ থেকে প্রশংসা শুনতে কেনা ভালোবাসে। আর দাম্পত্য সম্পর্ক যদি চান রাখবেন সর্বাধিক সুমিষ্ট তাহলে সঙ্গীর প্রশংসা করার অভ্যাসটা আজই রপ্ত করে নিন। শুধু রূপের নয় সাথে সাথেই গুণের প্রশংসাও করুন। দেখবেন আপনার অল্প একটু প্রশংসার প্রভাব কতোটা দিগুণ হয়ে আপনার সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।

ভালোবাসার সাথে সঙ্গীকে শ্রদ্ধা করুনঃ
আপনি যদি ভেবে থাকেন শুধুমাত্র ভালোবাসা দিয়েই আপনার দাম্পত্য জীবন সুন্দর করে তুলবেন তাহলে আমি বলবো ভুল করছেন। পাগলের মতো ভালোবাসার সাথে সাথেই আপনার সঙ্গীকে তার প্রাপ্য সম্মান আর শ্রদ্ধাটুকুও দিন। সংসারে সুখ বজায় থাকবে একরকম গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায়।

সঙ্গীর মতামতের মূল্যায়ন করুনঃ
দাম্পত্য জীবন যেহেতু আপনি এক তরফাভাবে পরিচালনা করতে পারবেন না ঠিক সেকারণেই আপনার নিজের এক তরফা মতামত কখনো আপনার সঙ্গীর উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। বরং সংসারে সুখ স্বাচ্ছন্দ্য বজায় রাখতে আপনার আপনার সঙ্গীর মতামতের যথাযথ মূল্যায়ন করুন।

সঙ্গীকে সময় দিনঃ
সারাদিন যদিও নানা কাজে ডুবে থাকেন তারপরও কিছুটা সময় নিজেদের জন্য বের করুন। দুজন কিছুটা সময় একান্তে কাটান, দেখবেন সম্পর্কের অনেক ছোটখাটো সমস্যার সমাধান আপনারা এই সামান্য সময়টুকুতেই করে ফেলতে পারছেন।

ছোটখাটো উপলক্ষগুলো উদযাপন করুনঃ
সম্পর্ক মধুময় রাখতে সামান্য কোন উপলক্ষ মিস করে যাবেন না। হতে পারে সেটা আপনাদের প্রথম দেখা হওয়ার দিনটি, হতে পারে যেদিন আপনার সঙ্গী আপনাকে প্রপোজ করেছিলো সেই দিনটি অথবা যেদিন আপনার একে অপরকে তুমি করে বলেছিলেন সেই দিনটি। উপলক্ষ যতো ছোটই হোকনা কেন আপনার সম্পর্কের মধুরতা বাড়াতে খুব কাজে দেবে।

নিজ কাজের দায়ভার নিতে শিখুনঃ
দুজন মানুষ একসাথে থাকতে গেলে বা একটি পরিবারে থাকতে গেলে খুঁটিনাটি সমস্যা সৃষ্টি হতেই পারে তাই বলে আপনি আপনার সঙ্গীকে এক তরফা দোষারোপ করবেন তা কিন্তু নয়। সম্পর্ক হেলদি রাখতে নিজ কাজের দায়ভার নিতে শিখুন, দেখবেন আর অযথা মনোমালিন্য হচ্ছে না।

একে অপরের কাছে স্বচ্ছ থাকুনঃ
যতো বেশী একজন আরেকজনের কাছে নিজেদের অনুভূতি, কষ্টলাগা, চাওয়া পাওয়া এমনকি ভালোলাগা গুলো লুকোবেন সম্পর্কে ততবেশি দূরত্ব বেড়ে যাবে। তাই দুজন দুজনের কাছে স্বচ্ছ থাকুন। দেখবেন আপনাদের ছোট্ট সংসারটা কেমন স্বর্গে রূপান্তরিত হয়েছে।

সম্পর্কে রোমাঞ্চ ধরে রাখতে আপনার সঙ্গীকে মাঝে মধ্যে চমক দিন। তাকে বুঝিয়ে দিন সে আপনার কাছে কতোটা স্পেশাল। কারণে অকারণে আপনার প্রিয় মানুষটির কানে কানে বলুন ভালোবাসি কথাটি। আপনি একটু চাইলেই আপনাদের দুজনের জীবন রাঙিয়ে তুলতে পারেন ভালোবাসার শতরঙে, বাড়িয়ে তুলতে পারেন সম্পর্কের মিষ্টতা।