অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অর্থপাচার মামলায় গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের ৭ বছরের কারাদণ্ড

0
.

অর্থপাচারের অভিযোগে করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ব্যবসায়িক বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তার ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়েছে।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন বুধবার এই রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে ৮ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী রেলওয়ের সিগন্যাল সিস্টেম আধুনিকায়নের কাজ পান দরপত্রের মাধ্যমে। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের বন্ধু মামুন অবৈধ কমিশন দাবি করেন শাহজাদের কাছে এবং তা না দিলে কার্যাদেশ বাতিলের হুমকি দেন। এভাবে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ছয় কোটি এক লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা আদায় করেন। পরে ওই টাকা লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন।

ওই ঘটনায় ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করে দুদক। পরের বছর ২৯ এপ্রিল মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় দুদক। চার্জশিটভুক্ত ১২ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন মামুন। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন।

২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর মামুনকে আরেকটি অর্থপাচার মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ৪০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়। পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।