ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে পাঁচ পুলিশকে আটকে রাখল এলাকাবাসী ময়মনসিংহের গৌরীপুরে এক ব্যবসায়ীকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে ৫ পুলিশ সদস্যকে আটকে রেখে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। এসময় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক অবরোধ করায় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে যান চলাচল। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ী খোকন মিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়ে চার ঘণ্টা পর অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে নিয়ে যান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর বাজারে মোবাইল ফোন ও ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী খোকন মিয়ার দোকানে মাদক উদ্ধারে অভিযানে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী।
গৌরীপুর থানার এসআই আউয়ালের নেতৃত্বে সাদা পোশাকে এতে অংশ নেন এসআই রুহুল আমিন, এএসআই আনোয়ার, এএসআই কামরুল ও কনস্টেবল আলামিন। এসময় ইয়াবা উদ্ধারের কথা বলে, ব্যবসায়ী খোকনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা বাধা দেয়।
এক পর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের আটকে রেখে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত খোকনকে ইয়াবা দিয়ে ফাসানোর জন্য দোকানের সিসিটিভির তার ছিড়ে ফেলার পাশাপাশি মেমোরিকার্ডও নিয়ে যাওয়া হয়।
ভুক্তভোগী খোকন বলেন, ‘চার জনের একজন এসে বলে, আমাকে ৫০ টাকা দে। আর একজন পিছে দিয়ে তাকের মধ্যে বড়ি (ইয়াবা ট্যাবলেট) রাখে। তখন আমি বলি, আপনি ওইখানে কি রাখছেন।’
এলাকাবাসী বলেন, একজন ভালোমানুষকে এভাবে ধরে নিয়ে যাবে তা হতে দেওয়া যায় না। এই ঘটনা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। আমরা এটার বিচার চাই।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রামগোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন জনি।
খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়ে চার ঘণ্টা পর পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করেন।
ময়মনসিংহ গৌরীপুর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখের হোসেন সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসি। এসে দ্রুত সাক্ষীগুলো নেই। তদন্ত করছি। দ্রুত এই ঘটনায় ব্যবস্থা নেবো।’
ব্যবসায়ী খোকনের দোকানে রোববার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মোবাইল সিমের মেলা ছিলো বলে জানান স্খানীয়রা।