অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শপথ না নেয়ায় মির্জা ফখরুলের আসন শূন্য ঘোষণা

0
.

নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে শপথ না নেয়ায় বিএনপির মহাসচিব মির্জ ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বগুড়া-৬ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলাকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিতে অসমর্থ হন বিধায় আসনটি শূন্য হয়েছে।

‘সংবিধানের ১৭৮/৩ বিধি অনুযায়ী কোনো আসন শূন্য হলে সংসদকে অবহিত করার বিধান রয়েছে। বগুড়-৬ আসনটি শূন্য হওয়ায় ১৭৮/৩ উপবিধি অনুযায়ী অবহিত করা হলো।’

স্পিকার বগুড়া-৬ আসনটি শূন্য ঘোষণা করার ফলে এই নির্বাচনী এলাকায় নতুন করে ভোটের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত পাঁচজন সংসদ সদস্য (এমপি) নানা নাটকীয়তার পর শপথ নিলেও দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল নেননি।

তিনি বলেছেন, দলীয় সিদ্ধান্তেই তিনি শপথ নেয়া থেকে বিরত থাকছেন। এটা তাদের ‘কৌশলেরই অংশ’। তবে সোমবার চার সংসদ সদস্য তাদের কৌশলের অংশ হিসেবেই শপথ নিয়েছেন।

সংবিধানের ৬৭ অনুচ্ছেদের ১ (ক) বিধি অনুযায়ী সদস্যদের আসন শূন্য হওয়ার বিষয়ে বলা আছে, ‘কোনো সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হবে; যদি তার নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করতে অসমর্থ হন ।’

নির্ধারিত ৯০ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিচ্ছেন না

গত ২৯ জানুয়ারি একাদশ সংসদের কার্যক্রম শুরু হয়। সে অনুযায়ী গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের ওই নির্বাচনে বিজয়ীদের শপথ নেয়ার সময়সীমা ৯০ দিন পেরিয়ে যায় সোমবার (২৯ এপ্রিল)।

বিএনপি মহাসচিব শপথ নিতে কোনো আবেদনও করেননি বলে সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।

গত নির্বাচনে মির্জা ফখরুল দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নিজের জেলা ঠাকুরগাঁও-১ আসনে হারলেও বিজয়ী হন দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার আসন বগুড়া-৬ আসনে।

তবে গত নির্বাচনের পর কারচুপির অভিযোগে ভোট বর্জন করে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। এরপর থেকে ফল বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলে জোটটি। সেই সঙ্গে তারা ঘোষণা দেয়, শপথ নেবেন না জোট থেকে নির্বাচিতরা।