আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মীর কাসেম আলীর ফাঁসির সংবাদ
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শনিবার (০৩ সেপ্টেম্বর) রাতে জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টায় মীর কাসেমকে ফাঁসিতে ঝুলানো হয় বলে গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কারাগারের জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বনিক।
মীর কাসেমের ফাঁসির বিষয়টি স্থান করে নিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতেও। রয়টার্স, বিবিসি, আলজাজিরাসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনের খ্যাতনামা গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশের এই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির সংবাদ শনিবার রাতেই গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে তাদের অনলাইন ভার্সনে।
এই বিষয়ে রয়টার্সের সংবাদের শিরোনাম ছিল-১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধে ইসলামিক দলের ব্যক্তিত্বকে ফাঁসি দিয়েছে বাংলাদেশ।
বিবিসি তাদের সংবাদের শিরোনাম দিয়েছে-ইসলামিক ধনকুবের মীর কাসেম আলীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে বাংলাদেশ।
আলজাজিরার সংবাদের শিরোনাম-জামায়াতের শেষ খ্যাতনামা নেতাকে ফাঁসি দিল বাংলাদেশ।
এবিসি নিউজের শিরোনাম-ইসলামিক দলের নেতাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটেনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার শিরোনাম-বাংলাদেশের যুদ্ধে নৃশংসতার দায়ে ইসলামপন্থীকে ফাঁসি দিল বাংলাদেশ।
ভারতের দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার শিরোনাম-১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধে জামায়াতের শীর্ষ নেতা মীর কাসেম আলীকে ফাঁসি দিল বাংলাদেশ।
একই দেশের দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকা তাদের সংবাদের শিরোনাম দিয়েছে-১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধে জামায়াত-ই-ইসলামীর বিশ্বস্ত মীর কাসেম আলীকে ফাঁসি দিল বাংলাদেশ।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের শিরোনাম-যুদ্ধাপরাধে বিরোধী দলীয় সিনিয়র নেতা মীর কাসেম আলীকে ফাঁসি দিয়েছে বাংলাদেশ।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ডেইলি মেইলের শিরোনাম-১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় হত্যা ও নির্যাতনের দায়ে ইসলামিক নেতাকে ফাঁসি দিল বাংলাদেশ।
প্রকাশিত সবগুলো সংবাদেই মীর কাসেম আলীকে একজন ধনাঢ্য ব্যক্তি ও জামায়াতে ইসলামীর একজন শীর্ষ অর্থ যোগানদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কোন অপরাধে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে সেই বিষয়েও আলোকপাত করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার প্রকাশিত সংবাদগুলোতে।