অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রমাদানকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামে শিবিরের র‌্যালী

0
.

আসন্ন পবিত্র রমাদান মাসকে স্বাগত জানিয়ে নগরীতে বর্ণাঢ্য র‌্যালী করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তরের উদ্যোগে আয়োজিত র‌্যালী পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’র কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও নগর উত্তর সভাপতি আ স ম রায়হান বলেন- হিজরী বর্ষের নবম মাস রমজান। পূণ্যময় এ মাসকে আল্লাহভীতি অর্জন এবং বিভিন্ন ইবাদত-বন্দেগী পালন করে স্রষ্টার নৈকট্য হাসিলের উপায় হিসেবে নেয়া প্রতিটি মুসলমানের জন্য অবশ্য কর্তব্য। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পাশপাশি এ মাস থেকে নেয়া শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সারা বছর জুড়ে নিজেদের জীবনে বাস্তবায়ন করাই মুসলমানদের প্রধান লক্ষ্য। কারণ রোজা পালনের মাধ্যমে বান্দা আত্মশুদ্ধি অর্জন করে থাকে। সে সাথে এক মাস রোজা রেখে বাকি এগারো মাস নিজেকে পাপমুক্ত রাখার সংকল্প গ্রহণ করার সুযোগ পায়। পাশাপাশি রোজা মানুষকে গরিব-দুঃখীর কষ্ট অনুধাবনে সহায়তা করে। মুসলমানরা রোজার মাধ্যমে সহমর্মিতা ও সহনশীলতার শিক্ষা লাভ করেন। এ মাস ধৈর্য্য, ত্যাগ ও সবরের। ধৈর্য্যরে প্রতিফল হিসেবে আল্লাহর নিকট থেকে জান্নাত লাভ করা যাবে। এ মাসে আল্লাহ মুমিন বান্দাদের রিযিক প্রশস্ত করে দেন। তাই তিনি পবিত্র এ মাসে মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সীমিত রাখা, খোদাদ্রোহী নাস্তিকদের সব অপতৎপরতা রুখে দিয়ে বেশি পরিমাণ কুরআন অধ্যয়ন, সকল প্রকার অশ্লীলতা, মদ-জুয়া, দিনের বেলা হোটেল-রেস্তোরা বন্ধ রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

.

নগর উত্তর শিবির সেক্রেটারী হাসান ইলাহী’র পরিচালনায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন শিবির নেতা এম ইউ হামীম, আশরাফুল আলম, নওফেল আজহার, মাহমুদ আব্বাস প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন মানুষের হেদায়েতের জন্য পবিত্র আল-কুরআন রমযান মাসেই নাযিল করা হয়েছে। এই মাসে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য সবাইকে যত বেশি সম্ভব কুরআন অধ্যয়ন করা প্রয়োজন। পাশাপাশি কুরআনের আলোকে সমাজ প্রতিষ্ঠায় মনের সকল কুপ্রবৃত্তি দূর করে শোষণ-বঞ্চনামুক্ত একটি সোনালী সমাজ গঠনে সবাইকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। – প্রেসবিজ্ঞপ্তি