অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নোয়াখালীতে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার, স্বামী-শ্বশুর পলাতক

1
.

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নে মঙ্গলবার রাতে আমেনা বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার চরবাটা ইউপির পশ্চিম চরমজিদ গ্রামের লিটনের বাড়ি থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আমেনা বেগম দক্ষিণ চরমজিদ গ্রামের রবিউল হকের মেয়ে। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক।

নিহতের তিন বছরের শিশু কন্যা মেঘলা জানান, তার বাবা শেখ ফরিদ তার মা আমেনাকে মেরেছে। এর বেশি কিছু বলতে পারছে না সে।

বিকেলে আছরের নামাজের পর আমেনাকে রান্না ঘরে রান্না করতে দেখেছে বাড়ির লোকজন। পাঁচটার দিকে তাদের ঘর থেকে মেয়ে মেঘলার কান্নার শব্দ শুনে বাড়ির লোকজন ভেতরে গিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচানো অবস্থায় আমেনাকে দেখতে পায়।

নিহতের গৃহবধূর পরিবারের ভাষ্যমতে, ২০১৫ সালে পশ্চিম চরমজিদ গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে শেখ ফরিদের সঙ্গে আমেনার বিয়ে দেয়া হয়। এরপর থেকে ফরিদ যৌতুকের জন্য আমেনাকে মারধর করতো। পরে নিরুপায় হয়ে যৌতুকের টাকা বাবদ ফরিদকে একটি সিএনজি নিয়ে দেন তারা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে টাকার জন্য পুনরায় আমেনাকে মারধর করতে থাকে ফরিদ। বিষয়টি আমেনা তাদের জানিয়ে ছিল।

নিহতের পরিবার অভিযোগ করে বলেন, বিকেলে আমেনা যখন রান্না করছিল তখন ফরিদ বাড়িতে আসে এবং রান্না ঘর থেকে বসতঘরে নিয়ে আমেনাকে মারধর করে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে চালানোর জন্য আমেনার মৃতদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় ফরিদ।

চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া করা হবে।

১ টি মন্তব্য
  1. Jesmin Naher বলেছেন

    চাদপুর আর নোয়াখালীর মানুষ বেশিরভাগ বউ কে মেরে পালিয়ে যায়।
    এরা শুধু বউ কে হত্যা করে টাকার জন্য।

    চাদপুরের ইঞ্জিঃহুমায়ুন কবির,নাসরিন কবির ও রাফিউ হাসান হামজা এরাও এভাবে পালিয়ে আছে।