অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিশ্বকাপের ‘থিম সং’ আসছে ১৭ মে

0
.

চোয়াল শক্ত করে হেঁটে যাচ্ছেন মিচেল জনসন আর ব্যাট হাতে ঝড় তোলার জন্য নামছেন ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম, ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘ইটস টাইম ফর আস, টেল মি ইউ গট দ্য পাওয়ার’।

২০১৫ বিশ্বকাপের এই বিখ্যাত ‘থিম সং’য়ের কথা মনে পড়ে? অথবা ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত ২০১১ বিশ্বকাপের ‘দে ঘুমাকে’? বাংলাদেশের ক্রিকেটভক্তদের কাছে অবশ্য বাংলা ভাষায় ‘মার ঘুরিয়ে’ গানটাই বেশি জনপ্রিয় হয়েছিল। কিন্তু আরেকটা বিশ্বকাপ দরজায় এসে কড়া নাড়তে থাকলেও অফিশিয়াল ‘থিম সং’টাই এখনো প্রকাশিত হয়নি। কবে প্রকাশিত হবে, এমন জল্পনা-কল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন জানা গেল আগামী ১৭ মে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে এবারের ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের ‘থিম সং’।

আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সম্প্রতি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এবং বিশ্বকাপের আয়োজক সংস্থা আইসিসি জানিয়েছে, ‘স্ট্যান্ড বাই’ শীর্ষক এবারের বিশ্বকাপের ‘থিম সং’টি আগামী ১৭ মে থেকে বিশ্বব্যাপী ভক্তরা শুনতে পারবে। টেলিভিশনে প্রচার করা ছাড়াও ইউটিউব এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ক্রিকেটভক্তরা গানটি শুনতে পারবে। খ্যাতনামা ব্রিটিশ ব্যান্ড রুডিমেন্টালের সঙ্গে নবাগত গায়ক লরিনের যৌথ প্রচেষ্টায় তৈরি করা হয়েছে গানটি।

২০১১ সালে রুডিমেন্টাল ব্যান্ডটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত তাদের প্রকাশিত অ্যালবাম ২০ লক্ষের অধিক বিক্রি হয়েছে। প্রতিভাবান নতুন শিল্পীদের খুঁজে বের করতেও তাদের জুড়ি নেই। বিশ্বকাপের ‘থিম সং’য়ে তাদের সহযোগী শিল্পী লরিনকেও উত্তর কানাডা থেকে খুঁজে বের করেছে তারাই। রুডিমেন্টাল ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য লকস্মিথ ‘থিম সং’ নিয়ে বলেন, ‘গানটির মূল বার্তা হচ্ছে ঐক্য। সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে আমাদের তৈরি করা সুরের মাধ্যমে এককাতারে নিয়ে আসাই ছিল আমাদের লক্ষ্য।’

বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির নির্বাহী পরিচালক স্টিভ এলওয়ার্থি আনুষ্ঠানিক ‘থিম সং’ নিয়ে বলেন, ‘খেলাধুলার মঞ্চে সংগীতের যে প্রভাব ও গুরুত্ব তা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। খেলোয়াড় ও দর্শকদের উজ্জীবিত করা এবং আনন্দময় মুহূর্তগুলো একসঙ্গে উদযাপনের একটা পরিচিত সুর প্রয়োজন হয়। আমি আশাবাদী যে, এবারের ‘থিম সং’টা বিশ্বকাপের প্রাণ হয়ে থাকবে।’