অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

পরকীয়ায় বাধা,প্রেমিকের সহযোগিতায় স্বামীকে গলাকেটে হত্যা

0
.

সিলেটের কানাইঘাটে পরকীয়ায় বাধা দেয়ার কারণে প্রেমিককে সাথে নিয়ে স্বামীকে গলাকেটে হত্যার খবর পাওয়া গেছে।

গত রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউপির বাউরভাগ ২য় খণ্ড গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বুধবার ভোরে সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নিহত ফারুক আহমদের (৩০) লাশ উদ্ধার করে। তার আগে ফারুকের স্ত্রী হোসনা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে বেরিয়ে আসে খুনের রহস্য।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফারুক আহমদের স্ত্রী চার সন্তানের জননী হোসনা বেগমের (২৮) সাথে প্রতিবেশী মোস্তফার (২৭) পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে ফারুক আহমদ স্ত্রী হোসনা বেগমকে পরকীয়ায় বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুককে খুন করার পরিকল্পনা করে হোসনা ও তার প্রেমিক মোস্তফা। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত রবিবার গভীর রাতে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমন্ত ফারুককে হোসনা বেগম, মোস্তফা ও তাদের সহযোগীরা মিলে গলাকেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।

পরে ফারুকের রক্তাক্ত লাশ পার্শ্ববর্তী গোরকপুর গ্রামের প্রবাসী মাসুক আহমদের সেফটিক ট্যাংকিতে ফেলে দেয়া হয়। ফারুক আহমদের কোনো সন্ধান না পেয়ে তার স্বজনরা হোসনা বেগমের কাছে ফারুকের সন্ধান জানতে চান। এসময় ফারুক কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি বলে জানান।

মঙ্গলবার রাতে চাচা সমছুল হক কানাইঘাট থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়রি করতে গেলে থানার ওসি মো. আব্দুল আহাদ তাৎক্ষণিক ফারুক আহমদের বাড়িতে পুলিশ পাঠান।

কানাইঘাট থানার এসআই সুরঞ্জিত ঘটনাস্থলে গিয়ে ফারুক আহমদের শয়নকক্ষে ঢুকে বিছানার ওপর ও ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ দেখতে পান। পরে তিনি হোসনা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। থানায় আনার পর হত্যার বর্ণনা দেন হোসনা বেগম।

কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আহাদ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মোস্তফাসহ তার সহযোগীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।’

ফারুক আহমদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। সুত্রঃ ইউএনবি