অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে পোর্টসিটি ইউনিভার্সিটির ১৬ বিদেশী ছাত্রের খোঁজ নেই

1
Port City International University
চট্টগ্রামের পোর্টসিটি ইউনিভার্সিটি।

বাংলাদেশে পড়তে এসে নিখোঁজ রয়েছে ১৬ বিদেশী ছাত্র। চট্টগ্রামের পোর্টসিটি ইউনিভার্সিটির এসব নিখোঁজ ছাত্রের সবাই সোমালিয়ান নাগরিক। তারা নিখোঁজ নাকি ভর্তি ট্রান্সফার করে অন্যত্র চলে গেছে তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে অনেকটা লুকোচুরি করছে ইউনিভার্সিটি প্রশাসন।

পুলিশ বলছে আগামী কাল (৬ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার নিশ্চিত হওয়া যাবে এসব ছাত্রের কি অবস্থা। সম্প্রতি দেশে জঙ্গি তৎপরতা বেড়ে যাওয়ার পর দেশের বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিখোঁজ তালিকা সংগ্রহ করে পুলিশ।

সম্প্রতি পোর্টসিটি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এ ১৬ ছাত্রকে অনুপস্থিত হিসেবে দেখিয়ে তালিকা জমা দেন নগরীর খুলশি থানা পুলিশকে। কিন্তু এসব ছাত্র আদৌ বিশ^বিদ্যালটিতে উপস্থিত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি।

port-city
চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী এলাকায় পোর্টসিটি ইউনিভার্সিটি।

চট্টগ্রাম নগরীর খুলশীতে অবস্থিত পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৬ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৫০ জন সোমালিয়ান নাগরিক। এর মধ্যেই দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে বিভিন্ন বিভাগের অন্তত ১৬ জন ছাত্র। সব রকমের চেষ্টা করেও তাদের কোনোরকম সন্ধান মিলছে না। ২০১৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর সিভিল, টেক্সটাইল, ত্রিপলি ও বিবিএ বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন এসব শিক্ষার্থী।

এ বিষয়ে খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিনের বলেন, বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব ছাত্রকে অনুপস্থিত দেখিয়ে থানায় একটি তালিকা জমা দেন। এর পর ছাত্ররা ইউনিভার্সিটিতে হাজির হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত করেনি ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। তিনি জানান সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী নিখোঁজের সংখ্যা ১৫ থেকে ২০।

সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, পোর্ট সিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করে গত মাসে আমরা যে তথ্য পেয়েছি তাতে এই সংখ্যক সোমালিয়ান ছাত্রের অনুপস্থিতির তথ্য আমাদের জানানো হয়েছে। তবে বর্তমানে এসব ছাত্রের কি অবস্থা তা আগামী কালের মধ্যে থানা থেকে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে উক্ত ইউনিভাসিটিতে পাঠিয়ে নিশ্চিত হবো।

এদিকে পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড.নুরুল আনোয়ারের দাবি এই মুহূর্ত্বে তার প্রতিষ্ঠানের কোনো সোমালিয়ান ছাত্র নিখোঁজ নেই। তিনি সাংবাদিকদের জানান, যে কজন ছাত্র অনুপস্থিত ছিল তারা সবাই ক্লাশে যোগ দিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার্ড সূত্র নিখোঁজের বিষয়টি সেভাবে স্বীকার না করলেও ভর্তি ট্রান্সফার করে ১৫-১৬ জন সোমালিয়ান ছাত্র ঢাকা কিংবা নিজ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে বলে দাবি করছে। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য বা রেকর্ড আছে কি না রেজিস্ট্রার্ড সূত্র তা জানাতে অস্বীকৃতি জানায়।

SAM_1690
চট্টগ্রামের পোর্টসিটি ইউনিভার্সিটি।

ইউনিভার্সিটি সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানায়, টেক্সটাইল ও ত্রিপলি বিভাগে সোমালিয়ান শিক্ষার্থী সবচেয়ে বেশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেক্সটাইল বিভাগের এক শিক্ষার্থীর ভাষ্য মতে, অন্যত্র ট্রান্সফার হয়ে গেলে সহপাঠী হিসেবে বিষয়টা তাদের জানার কথা। নিজ ডিপার্টমেন্টে ৪-৫ জন অনুপস্থিত জানিয়ে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসের কোনো সহপাঠী অন্য কোথাও ভর্তি ট্রান্সফার করে চলে গেলে তা আমাদের জানার কথা। অন্তত তারা আমাদের বলে যেতেন কোথায় তারা নতুন করে ভর্তি হচ্ছেন! কিন্তু এ ধরনের কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই।

এদিকে একসঙ্গে এত সোমালিয়ান ছাত্র নিখোঁজ হওয়া এবং তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের লুকোচুরির বিষয়টাকে রহস্যজনক মনে করছেন সচেতন মহল।

জানাগেছে, টানা দুই দশকের গৃহযুদ্ধের আগ্রাসনে আফ্রিকার এই মুসলিম প্রধান দেশে চরম খাদ্যসংকট চলছে। দেশটির একটি অংশ দখলে নিয়ে পরিচালনা করছে জঙ্গী সংগঠন আল-শাবাব। এরই মধ্যে আফ্রিকান বিভিন্ন নাগরিক বাংলাদেশে অপকর্ম করে গ্রেফতার হয়েছেন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ও দুর্ভিক্ষে জর্জরিত সোমালিয়ার এতগুলো ছাত্র একসঙ্গে বাংলাদেশের ভার্সিটিতে টিউশন ফি দিয়ে পড়তে আসার সামর্থ্য কি আদৌ রাখে? বাংলাদেশের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা কি যাচাই করা হয়েছে? পোর্ট সিটি ইউনিভার্সিটির প্রতিই বা কেন আল-শাবাব সংশ্লিষ্ট সোমালিয়ান শিক্ষার্থীদের আগ্রহ? এনিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।

১ টি মন্তব্য
  1. Farhana Khatun Ritu বলেছেন

    Sweet Friend’s Page
    একদিন বল্টু কোট, প্যান্ট, টাই ও জুতা পরে এক 5 Star হোটেলে গেল এবং অনেক দামি দামি খাবারের ওর্ডার করল। খাওয়া শেষে বিল অাসল প্রায় ৫০০০ টাকা
    বিল দেখে বল্টু ক্যাশিয়ারকে বলল………..
    বল্টু : আপনি কি অামাকে চিনতে পারছেন
    ক্যাশিয়ার : না স্যার….Continue Reading