অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আধুনিক নগরীতে বাঁশের সাঁকোই পতেঙ্গা মুসলিমাবাদ বাসীর ভরসা

0
.

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ফ্লাইওভার, আধুনিক পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত, কর্ণফুলির নদীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণসহ নানান উন্নয়নের নগরী ভাসলেও পতেঙ্গা মুসলিমাবাদ চরপাড়ার মানুষ এখনো একটি বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

ডিজিটাল ও আধুনিক নগরীর মাঝেও পতেঙ্গা চরপাড়ায় মানুষের হাটাচলার একমাত্র রাস্তার দুদর্শা দেখার যেন কেউ নাই।

রাস্তাটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের অফিসে ধর্না দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকাবাসী।
বার বার টেন্ডার হওয়ার পরও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় পড়ে রাস্তার উন্নয়ন কাজ ফাইলবন্দি রয়েছে।

একন এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে তৈরী একটি নড়েবড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

.

এ যেন চেরাগের নীচে অন্ধকার।

জানাগেছে,উত্তর পতেঙ্গায় মুসলিমাবাদ দিয়ে চরপাড়ায় যাতায়াতের সংযোগ সড়কটি বর্ষার আগেই উন্নয়নের জন্য চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দিনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী ও মসজিদ কমিটি।

স্থানীয়রা জানায় প্রায় ৮ হাজার ভোটার রয়েছে অত্র এলাকায়।প্রতি শুক্রবার কানেকটিং রোড সংলগ্ন মসজিদে নামাজ আদায় করে প্রায় ৫০০ মুসল্লি। সড়কে বৈদ্যুতিক খুটিতে পযাপ্ত আলোর ব্যবস্থা না থাকায় রাতে পথ চলতে গিয়ে পথচারীদের বিভিন্ন সমস্যায় পরতে হয়। এলাকায় বিভিন্ন সড়কের উন্নয়ন হলেও প্রায় ৭০০ ফুটের সংযোগ সড়কটির উন্নয়ন হয়নি। যার ফলে আসন্ন বর্ষাকালে দুর্ভোগের শিকার হবে এলাকায় বসবাসরত গার্মেন্টসকর্মী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও মুসল্লি থেকে শুরু করে নানান শ্রেণী পেশার জনসাধারণ।

১২ মে বিকাল ৪ টায় সরেজমিনে মুসলিমাবাদ কানেকটিং রোডে গেলে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে যেখানে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে,আউটার রিংরোড নির্মাণ প্রকল্প,কর্ণফুলী টার্নেল ও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের ব্যাপক উন্নয়নে পাল্টে যাচ্ছে পতেঙ্গার চিত্র অথচ সেখানেই পতেঙ্গা থানাধীন মুসলিমাবাদ এলাকায় বর্ষার কবল থেকে রক্ষা পেতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ যেন জানিয়ে দিচ্ছে এলাকার উন্নয়নের চিত্রের কথা। এ যেন শহরের ভিতর গ্রামের চিত্র।

.

স্থানীয় যুবক মোঃ সাত্তার বলেন,বর্ষার মৌসুমে এ রোডে হাটু পরিমান পানি ডিঙিয়ে কর্মস্থলে যেতে হয়। এলাকায় অনেক সড়কের পরিবর্তন হয়েছে কিন্তু এ রোডের কোন পরিবর্তন না হওয়াতে আমরা হতাশ হয়েছি। মুসল্লি মোঃ আবদুল খালেক জানান,নানা সমস্যায় জর্জরিত সংযোগ সড়কটি,বর্ষায় আগেই উন্নয়নের দাবি জানান তিনি।

মুসলিমাবাদ এলাকায় বসবাসরত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ জয়নাল আবেদিন সড়কের উন্নয়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করে বলেন, মসজিদে নামাজ আদায়সহ নাগরিক দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে যদি বর্ষার আগেই সড়কের উন্নয়ন বা বিকল্প ব্যাবস্থা করা যেত তাহলে অনেক সমস্যার সমাধান হত বলে আমার বিশ্বাস। মসজিদ কমিটির পক্ষে মুসলিমাবাদ আলহাজ্ব মরহুম সোলাইমান কন্টাক্টার জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃআব্দুল হক বলেন, মুসলিমাবাদ দিয়ে চরপাড়ায় যাতায়াতের সড়কটির বেহাল দশা, বর্ষাকালে এলাকাবাসী ও মুসল্লিদের জনদুর্ভোগ বেড়ে যাবে। ইতি মধ্যে মসজিদ কমিটির অর্থায়নে প্রায় ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ ও সড়কে মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিষয়ে ৪০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী মোঃ জয়নাল আবেদিন জানান, ৪০ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কিছু কিছু কাজ এখনও সমাপ্ত হয়নি। মুসলিমাবাদ দিয়ে চরপাড়ায় যাতায়াতের কানেকটিং রোডটি প্রায় ৭০০ ফুটের। সড়কটির উন্নয়নের জন্য ৫০ লাখ টাকায় ২ বার টেন্ডার ডাকা হয়। কিন্তু কেউ টেন্ডারে অংশ গ্রহন না করায় সড়কটির উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে বর্ষার আগে এ সড়কের উন্নয়ন সম্ভব না। আমি কাউন্সিলর থাকা কালীন সড়কের উন্নয়ন কাজ শেষ করব। জনসাধারণের সুবিধার্থে মুসলিমাবাদ দিয়ে চরপাড়ায় যাতায়াতের জন্য সড়কটিতে খুব শীঘ্রয় বৈদ্যুতিক খুটিতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যাবস্থা করা হবে।;